অবৈধভাবে বালি তোলার অভিযোগ, আচমকা অভিযান উত্তর দিনাজপুর জেলাশাসকের

অবৈধভাবে বালি তোলার অভিযোগ খতিয়ে দেখলেন জেলাশাসক। পাশাপাশি পরিদর্শন করলেন মহানন্দা নদীর বাঁধও।

 

 

Bengal Live চোপড়াঃ প্রশাসনিক নির্দেশ না মেনেই অবৈধভাবে চলছিল নদী থেকে বালি তোলার কাজ। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আচমকা অভিযানে নামলেন উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা। মঙ্গলবার চোপড়া থানার চিতলঘাটা এলাকায় উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনার নেতৃত্বে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একটি দল পৌঁছায়। জেলাশাসকের এই আচমকা উপস্থিতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় মানুষদের সাথে কথা বলার পাশাপাশি তাঁদের সমস্যার কথাও শোনেন জেলাশাসক। উপস্থিত ছিলেন ইসলামপুরের মহকুমা শাসক সপ্তর্ষি নাগ, চোপড়া থানার আইসি সহ অন্যান্যরা৷

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফে বর্ষায় সমস্ত রকম বালি পাথর তোলার কাজ বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে এরপরেও বেআইনিভাবে চলছিল বালি তোলার কাজ বলে অভিযোগ। এদিন চিতল ঘাটায় উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের দল। পাশাপাশি এদিন মহানন্দা নদীর বাঁধ ও পরিদর্শন করেন তাঁরা। কথা বলেছেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বর্তমানে ওই এলাকার বালি তোলার কাজ বন্ধ থাকায় কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। এলাকার বাঁধের অবস্থাও শোচনীয়। তাই জেলাশাসকের কাছে স্থানীয়দের অনুরোধ যেন মহানন্দা নদীর বাঁধ মেরামতির ব্যবস্থা করা হয়।

এবিষয়ে উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা জানান, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার বালি তোলা নিয়ে নতুন নীতি করেছে তাতে এই বর্ষাকালে বালি তোলার সমস্ত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরেও অবৈধভাবে বালি তোলার কাজের অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল। তা খতিয়ে দেখতেই আজ আমরা এখানে এসেছি। এখন এখানে কাজকর্ম বন্ধ আছে। তবে এরপরেও যদি বেআইনিভাবে কোন কাজ হয় সেক্ষেত্রে আমরা কড়া ব্যবস্থা নেব। এছাড়া তিনি বলেন, মহানন্দা নদীর বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় বালি তুলে নেওয়ার ফলে বাঁধের অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে পড়েছে। বাঁধ ভেঙে পড়লে খুব সমস্যায় পড়বেন এই এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কে আমরা বলতে চাই যে বেআইনি ভাবে কোন বালি তোলার কাজ হলে সেটা বন্ধ করা হোক এবং আমাদের জানানো হোক।

Exit mobile version