সিগারেটের পেছনের ফিল্টার দিয়েই তৈরি হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী
সিগারেটকে ঠিক খাবার বললে ভুল বলা হবে। এটি আসলে নেশা। কিন্তু এই সিগারেট থেকে বায়ু দূষণ, মাটি দূষণ সহ দৃশ্য দূষণ হয় যা পরিবেশের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। তাহলে উপায় ? উপায় বাতলেছেন এক ভারতীয় যুবক।
Bengal Live ডেস্কঃ কিছু মানুষ সিগারেট খেয়ে যেখানে সেখানে তার অবশিষ্ট অংশ ফেলে দেন, যা মাটি দূষণ করে। একটি গবেষণায় জানা গেছে, সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ মাটিতে মিশতে প্রায় ১০ বছর পর্যন্ত সময় লাগে। যা পরিবেশের জন্য একটি ভয়ঙ্কর সংবাদ।
সিগারেটের এই বর্জ্য পদার্থকে যে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যায় তা করে দেখিয়েছেন নমন গুপ্ত নামে এক ভারতীয় যুবক। তিনি একটি সংস্থা তৈরি করেন যা এই অবশিষ্টাংশগুলো কাজে লাগিয়ে বালিশ, চাবির রিং সহ আরো নানাবিধ জিনিস তৈরি করে মানুষের চাহিদা পূরণ করছে। এর ফলে পরিবেশ দূষণ যেমন কম হচ্ছে, তেমনি উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রির মাধ্যমে ব্যবসায়িক দিক থেকেও লাভবান হচ্ছেন সংস্থার সদস্যরা।
কীভাবে এই ভাবনা এলো নমন গুপ্তের মাথায় ? জানে গেছে, কলেজে পড়ার সময় যখন পিজিতে থাকতেন তখন তিনি লক্ষ্য করেন, বন্ধু কিংবা রুমমেটরা সিগারেট খেয়ে যেখানেসেখানে ফেলে দিচ্ছেন। কলেজে কিংবা অন্যান্য জায়গাতেও একই ছবি। এরপর একদিন গুগল থেকে জানতে পারেন, দশ বছরেও সিগারেটের এই অবশিষ্টাংশে পচন ধরে না। কারণ কাগজের ভিতরে থাকা পলিমার বা ফাইবারের তৈরি ফিল্টারটি। সেটির জন্যই মাটিতে মিশলেও পচন ধরতে অন্তত দশ বছর সময় লাগে। এরপর প্রায় চারমাস এটি নিয়ে পড়াশোনা করেন নমন। তখনই তাঁর মাথায় এই ভাবনা আসে। এখনও পর্যন্ত তাঁদের কোম্পানি (Code Effort Private Limited) ৩০০ মিলয়নেরও বেশি সিগারেটের অবশিষ্টাংশকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করেছে।