এভাবেও ভাল থাকা যায় ! মানুন, না মানুন, অসুখী মধ্যবিত্তরা পড়ে দেখুন
আমাদের ভালো থাকা, না থাকার ওপর নির্ভর করে থাকে আমাদের সম্পূর্ন মানসিক, শারীরিক ও সামাজিক অস্তিত্ব। এই ভোগবাদী সমাজে আমাদের ভালো থাকার সংজ্ঞা ঠিক করে দেয় যা যা, সেগুলিকেই আমরা ভালো থাকা হিসেবে মেনে নিয়েছি কোনো প্রশ্ন না করেই। চলুন দেখে নিই আপনি ভালো আছেন কি না !!
কোভিড পজিটিভ শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্যে মৃত ৪৬০৬ করোনা আক্রান্ত রোগী
Bengal Live স্পেশালঃ সেদিন রাস্তায় দেখা হলো পিন্টুদার সাথে। আমি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে এক বন্ধুর সাথে কথা বলছিলাম। পিন্টুদা হয়তো আমাকে দেখেই, গাড়ি থামিয়ে জানালার কাঁচ নামিয়ে গলা বাড়ালেন। “কী খবর? কেমন আছ?অনেকদিন পর দেখা হলো।”
আমি উত্তর দিলাম, হ্যাঁ, প্রায় পাঁচ মাস। আমি তো সবসময় বিন্দাস। আপনি কেমন আছেন? এবার পিন্টুদার উত্তর শুনুন “ভালো না রে !“ আমি বললাম, কেন ? শরীর- টরির ঠিক তো বাড়ির সবার? পিন্টুদার উত্তর “হ্যাঁ, সে তো ঠিকই আছে। আমার প্রেসার আর সুগার দুটোরই ওষুধ একইভাবে চলছে। এমনিতে কোনো সমস্যা নেই। ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে। সে এখন লকডাউনে বাড়িতে। মেয়ে-জামাই ভালোই আছে। কিন্তু বেশ কিছুদিন হলো, মনটা ভালো নেই।” তারপর আরো কিছু এটা-সেটা কথা বলে পিন্টুদা বিদায় নিলেন। তাঁর চলে যাবার পর আমার মনে হলো পিন্টুদার টাকা-পয়সার অভাব নেই।বাড়িতে সেরকম কোনো পারিবারিক সমস্যা নেই। মেয়ে-জামাই, তাঁদের সন্তান ভালো আছে বেশ। পিন্টুদার ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব একটা চিন্তার কারণ দেখছি না। তাহলে পিন্টুদার কিসের সমস্যা?
ইমোজির মানে না বুঝে ব্যবহার ? সাবধান ! ইমোজির পেছনে যৌনতার ব্যঞ্জনা
তার মানে সাংসারিক সুখ, অর্থ, বাড়ি, গাড়ি এসব দিয়ে মন সম্পূর্ণ ভালো না-ও হতে পারে। উল্টো করে বললে এমনও বলা যায় যে, যারা ভাবেন অনেক অর্থ, তার পর বাড়ি, গাড়ি, পারিবারিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য পেয়ে গেলে তারা জীবনে সুখী হয়ে যাবেন, সেরকম কোনো গ্যারান্টি না-ও থাকতে পারে। তাহলে কোনো মানুষ সুখী কি না, তা কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করবে ? কিভাবে খুঁজে পাব এর উত্তর ?
ইন্টারনেটে খুঁজতে গিয়ে কোন কোন বিষযের উপর আমাদের “হ্যাপিনেস” নির্ভর করে, তার লম্বা লিস্টি পেলাম। কেউ বলছেন মানসিক অবস্থার উপর, কেউ বলছেন সন্তুষ্টির উপর , কেউ বা বলছেন আমরা কতখানি দিতে পারি সমাজকে বা অন্যদের, তার উপর। মোটামুটি তার একটা ছোট তালিকা করা গেলে এরকম হবে।
উত্তর দিনাজপুরের দ্বিতীয় প্রাচীন স্কুল মারনাই শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়
প্রথমতঃ: আপনার ভালো থাকা নির্ভর করে আপনার চিন্তা ভাবনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের উপর। আপনি কেমন ভাবনা ভাবেন বা চিন্তা করেন ? সেগুলো ধনাত্মক নাকি ঋণাত্মক ? আপনি যদি ভালো চিন্তা বা সুস্থ চিন্তা করেন, আনন্দময় ভাবনা ভাবেন, তাহলে আপনি ভালো থাকবেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে আনন্দময় চিন্তা আমি করবো কী করে ? যদি আমার চারপাশে সব সময় সবকিছু খারাপ দেখতে পাই, তবে নিশ্চয়ই আমার মধ্যে ভাল ভাবনা আসবে না, আমি ধনাত্মক চিন্তাও করতে পারব না।
দ্বিতীয়তঃ : আপনার ভালো থাকা সম্পূর্ণ আপনার ওপরই নির্ভর করছে। বিখ্যাত লেখিকা স্টেসি চার্টের বলেন যে, আপনার ভালো থাকা বা না থাকা শুধু আপনার উপরই নির্ভর করবে, অন্য কারো উপর নয়। অন্য কেউ যেন আপনার ভালো বা মন্দ থাকার উপর প্রভাব না ফেলে। তাহলেই আপনি ভালো থাকবেন।
কিন্তু আমার মতে এতেও সমস্যা আছে। আমি কিভাবে ভাল থাকব, সেটা পরিস্থিতির উপরও নির্ভর করে। তাই ভালো থাকার উপায় কিন্তু এখানে পাওয়া যাচ্ছে না।
এভাবে বাচ্চাদের খাওয়াবেন না, বুদ্ধি লোপ পাবে, ভবিষ্যৎ গড়তে খাদ্যাভ্যাস পাল্টান
তৃতীয়তঃ: মেনে নেওয়া বা মানিয়ে চলার উপরেই ভালো থাকা নির্ভর করে। মানিয়ে নিয়ে এবং পৃথিবীকে আপন করে নিয়ে সবকিছু সুস্থ মনে গ্রহণ করে আমরা শান্ত ও ভালো থাকতে পারি। জার্মান আধ্যাত্নিক গুরু এবং আমেরিকা ও কানাডার বিখ্যাত আধ্যাত্নিক লেখক একহার্ট টোল বলেন যে, মেনে নেওয়া বা গ্রহণ করার ক্ষমতা যদিও মনে হয় একটি পরোক্ষ শক্তি, কিন্তু এটা একটা খুব বড় শক্তি। এর ফলে যে শান্তি পাওয়া যায় তা এক অন্য স্তরের সচেতনতায় মানুষকে নিয়ে যায়।
কিন্তু, আমার ও আপনার মতো ছাপোষা গেরস্ত কীভাবে সেই অন্য স্তরের সচেতনতার হদিশ পাবে, তার উত্তর অন্তত বাঙালিদের তিনি দেবার কথা ভাবেননি।
চতুর্থতঃ: নিজেকে ক্ষমা করে দিলে আপনি ভালো থাকবেন। আপনার সমস্ত খামতিগুলোকে যদি আপনি মেনে নেন, তাহলে দেখবেন আপনি বেশ ভালোই আছেন। লেখক এলান কোহেন এ বিষয়ে বলেন, এই মুহূর্তে যদি আপনি নিজেকে ভালোবাসতে শুরু করেন, দেখবেন আপনার স্বর্গ অনুভূত হচ্ছে। কখন মরে যাবেন সেই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করবেন না।যদি অপেক্ষা করেন তাহলে আপনি এখনি মরে গেছেন। যদি নিজেকে ভালবাসেন, দেখবেন আপনি এখনই কত সুন্দর ভাবে বেঁচে আছেন, তা বুঝতে পারবেন।
কিন্তু আমরা তো প্রত্যেকেই নিজেদের খুব ভালোবাসি। না ভালবাসলে লকডাউনেও বাজারে প্রতিদিন বেরোতাম কীভাবে ? আমাদের মধ্যে দু-একজন যথেষ্ট ত্বকের যত্ন নেন। কেউ নিজেকে ভালোবেসে একটু বেশি খাবার খেয়ে নেন মাঝে মাঝে।আর নিজেকে ক্ষমা করে দেবার ব্যাপারে বাঙালির জুড়ি নেই। না হলে স্বাধীনতার এতগুলো বছর পার হয়ে গেলেও নিজেদের পুরোনো দোষ, ত্রুটিগুলো বারবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে মাঝে মাঝেই কীভাবে? এগুলো কি নিজেকে ভালোবাসা নয় ? প্রশ্নগুলো সহজ। কিন্তু উত্তর অজানা।
বন্ধু-বান্ধবী ও যৌনতা নিয়ে শিশুর মনের কৌতুহল কীভাবে সামলাবেন বাবা-মা ?
পঞ্চমতঃ : ছোট ছোট জিনিসে আনন্দ পাওয়া মানেই ভালো থাকা। যাঁরা জীবনের সামান্য সামান্য আনন্দ গুলোকে উপভোগ করতে পারেন না, তাঁরা কোনদিনও ভালো থাকতে পারবেন না। ফ্রেডরিক কেওনিগ বলেন, আমরা মাঝে মাঝে ভুলে যাই যে, আনন্দ বা সুখ যা যা নেই , সেগুলো বা অন্য কোনো কিছু অর্জন করলে আসে না। এটা একটা উপলব্ধি।
কিন্তু এটাও সত্যি যে, ছোট ছোট জিনিসে আনন্দ খুঁজে বেড়ানো একটা অভ্যাস, যেটা তৈরি করাটাও একটা বড় ব্যাপার।
ষষ্ঠতঃ: সেবার মাধ্যমে আনন্দ পাওয়া যায়। আপনার যা আছে, অর্থাৎ পার্থিব ধন, জ্ঞান, ক্ষমতা, তা যদি আপনি সবার ভালোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন, দেখবেন আপনার মন আনন্দে ভরে গেছে। দার্শনিক ও তিব্বতি বৌদ্ধগুরু দালাই লামা বলেন, আমরা এই পৃথিবীতে দর্শনার্থী মাত্র। যতদিন থাকবো ততদিন যদি ভালো কাজ করে যেতে পারি, যদি অন্যদের আনন্দের কিছু মাত্র কারণ হতে পারি, তাহলে দেখব জীবনে সত্যিকারের আনন্দ এবং সত্যিকারের লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছি।
কিন্তু এই ভোগবাদী সমাজব্যবস্থায় আমরা শুধু ভালো থাকা বলতে বুঝেছি যা কিছু ধন, জ্ঞান, সম্পদ, ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করে নিজের দিকে ঝোল টানার ব্যবস্থা করা। সেজন্যই আমরা ভালো থাকি না কখনোই।
সপ্তমতঃ: জীবনকে ভালোবাসলেই সত্যিকারের ভালো থাকা যায়। মনে পড়ে সলিল চৌধুরীর সুরে মান্না দে’র সেই বিখ্যাত গানটা, “আনন্দ” সিনেমার। “জিন্দেগি ক্যায়সি য়ে পহেলি হ্যায় ? কভি তো হাসায়ে কভি য়ে রুলায়ে !“ হৃষিকেশ মুখার্জির সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্র রাজেশ খান্না জীবনকেই শুধু ভালবেসেছিলেন। তাই আসন্ন মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও তিনি কখনোই দুঃখ কে মেনে নেননি। জীবনকে ভালবেসে তিনি শুধু আনন্দই দিয়ে গিয়েছিলেন এবং পেয়েছিলেনও ভালোবাসা আর আনন্দ। বিখ্যাত আমেরিকান কবি মায়া এঞ্জেলাও তাই বলেছেন, জীবনকে ভালোবাসো। ভালোভাবে বাঁচো। কারণ জীবনকে যা দেবে, জীবন তোমাকে ফিরিয়ে দেবে তার চেয়ে অনেক বেশি কিছু।
কিন্তু কীভাবে আমরা সাধারণ মানুষ জীবনকে ভালোবাসব, তার একটা গাইড থাকলে বেশ হতো। তাই না ?
সন্তানকে মনের মতো মানুষ করতে হলে এই কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখুন
বিখ্যাত দার্শনিক স্বামী বিবেকানন্দ ছাড়াও ডেল কার্নেগি, আর্ল নাইটিঙ্গেল, জোসেফ মারফি, বব প্রক্টর এবং বর্তমান সময়ের আরেকজন অনুপ্রেরণা দেওয়া আমেরিকান লেখক ভারতীয় বংশোদ্ভূত রবিন শর্মার লেখা একটু আধটু পড়ে আমি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ভালো থাকার জন্য একটা গাইডলাইনের মতো তৈরি করেছি, যা আমি নিজে মেনে চলি। কারণ, আমার মনে হয়, যদি একটা একটা করে আমরা ভালো লাগার দিন তৈরি না করতে পারি, তাহলে সামগ্রিক ভাবে ভালো থাকা যাবে না। সেটা আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবার আগে চলুন একটু দেখে নিই, আমাদের প্রতিদিনকার ভালো থাকাগুলি সাধারণত কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
প্রথমতঃ আমাদের ভালো থাকার ৫০% নির্ভর করে, আমাদের পিতা-মাতা আমাদের ছোটবেলায় ভালো থাকার যে মানগুলো তৈরি করে দিয়েছেন, তার উপর। যেমন ধরুন, কাউকে ছোটবেলায় যদি বোঝানো হয়, জীবনে অর্থই আসল জিনিস, তাহলে সে সেটাকেই ভালো থাকার চাবিকাঠি হিসেবে মস্তিষ্কে গেঁথে নেবে। এর সাথে আমরা যাদের সাথে মিশি বেশিরভাগ সময়, তাদের কাছে ভালো থাকার মানে কী ?সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।
দ্বিতীয়তঃ আমাদের ভালো থাকার ৪০% নির্ভর করে, আমরা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কী করি, তার উপর এবং কী ভাবে সকাল শুরু করি, তার উপর। দেখবেন, যদি সকালটা ভালো কাটে, আপনার বাকি দিনটি যতই পরিশ্রম বা চাপের হোক, আপনার খুব একটা খারাপ লাগবে না।
উৎসবের দিনগুলি আপনার পরিশ্রম হলেও ভালো কাটে, কারণ সকালে আপনি আপনার মানসিক অবস্থাকে সেভাবে স্থির করে দেন।
আন্তর্জালের ফাঁদে আপনার শিশুর ভবিষ্যৎ আপনিই নষ্ট করছেন না তো ? ভাবুন
তৃতীয়তঃ ভালো থাকার ১০% নির্ভর করে আমাদের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর। কিন্তু আমরা ভাবি আমাদের ভালো থাকা, না থাকা, সম্পূর্ণ নির্ভরশীল এই ১০% এর উপর। কতটা ভুল ভেবে চলি আমরা ?
এখন ছোটবেলায় তৈরি করে দেওয়া ভালো থাকার মানদন্ডগুলি নিশ্চই আমরা আমাদের চিন্তাভাবনা দিয়ে পর্যালোচনা করতে পারি। তাই এই ৫০% এর দায়-দায়িত্ব আমাদের জানা, পড়াশোনা ও আমাদের মেলামেশার উপর নির্ভরশীল। বর্তমান পরিস্থিতি, যার উপর ১০% ভালো থাকা, না থাকা নির্ভরশীল, সেটার উপর আমাদের নিশ্চই কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। কিন্তু যে ৪০% কে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি , তা আমি করার চেষ্টা করে যাচ্ছি বেশ কিছুকাল ধরে। তার ফলও আমি পেয়েছি। সাময়িক কিছু সমস্যায় মন খারাপ হলেও তা আমার একদিন বা দুই দিনের বেশি টেকে না। আবার অন্যদিকে সকালটা একদিন একটু খারাপ গেলেই ভালো বিষয়গুলিতেও বিরক্ত লেগে থাকে।
কিছু বিনীত টিপসঃ
একঃ সকালে প্রথম এক ঘন্টা মোবাইল সুইচ অফ রাখুন। আমি পেরেছি, আপনারাও পারবেন।
দুইঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছুটা সময় একা থাকুন। একটু হাঁটুন, পছন্দের বই পড়ুন বা গাছে জল দিন, বা একটু ছাদে ঘুরে আসুন। এ সময় কারো সাথে কথা না বলাই ভালো। তারপর পারলে আপনার দিনের কাজগুলোকে গুরুত্ব অনুযায়ী সাজিয়ে নিন। লিখে নিন বা মনে রাখুন।
তিনঃ সকালেই ঠিক করে রাখুন, আপনি কোনো সিদ্ধান্ত আজ নেবার সময় অন্ততঃ তিনবার ভেবে তারপর নেবেন। ঠিক করুন, আজ আপনি কোনও অবস্থাতেই মাথা গরম করবেন না। একবার মাথা গরম মানেই আপনার এক পয়েন্ট কাটা। এভাবে নিজেকে মনে মনে নম্বর দিন।
ডুডলে ছবি প্রকাশ করে বাঙালি সাঁতারুকে জন্মদিনে কুর্নিশ জানালো গুগল
চারঃ পৃথিবীর সবাই আপনার মতো নয়, এটাই সত্যি। আপনি সবাইকে আপনার মত অনুযায়ী চালাতে পারবেন না, এটা সকালেই নিজেকে বোঝান। এটাও বোঝান, আপনি সবার কাছে নিজেকে একজন আনন্দিত মানুষ হিসেবে আজ তুলে ধরবেন।
পাঁচঃ সকালে নিজেকে বলুন, আপনি আজ সারাদিনে অন্তত একজন মানুষের প্রশংসা করবেন এবং সেটা নিঃস্বার্থভাবে। এই সংখ্যাটা যত বেশি বাড়বে, মনে রাখবেন, আপনার ভালো থাকাও তত বাড়বে।
ছয়ঃ সকালে নিজের পরিবারের সবার সাথে একবার হলেও কথা বলুন। যদি তারা কাছে এবং ফাঁকা থাকে। তাদের সাথে সকালের খাবার খেলে আরো ভালো।
সাতঃ সকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে অবশ্যই ভারী কোনো খাবার খেয়ে বেরোবেন, যাতে আগামী তিন-চার ঘন্টা খিদে না পায়। পেট শান্তি তো জগৎ শান্তি।
(উপরের তালিকাগুলো আস্তিক ও নাস্তিক সকলের জন্য প্রযোজ্য। যাঁরা ঈশ্বর মানেন, তাদের ক্ষেত্রে সকালে একটু ঈশ্বরকে উপাসনা করলে মনে শান্তি আসবে।)
এই বেশ ভালো আছিঃ
আপনি ভালো আছেন কি না, সেটা আপনার থেকেও বেশি ভালো বলতে পারে আপনার মুখমন্ডল। শুধু ত্বকের যত্নই নয়, সম্পূর্ণ মানুষটার যত্ন নিতে শুরু করুন। দেখবেন যতই কষ্ট আসুক জীবনে, যতই চ্যালেঞ্জ আসুক, আপনি থাকবেন সবসময় “বিন্দাস”
লেখক:
অমিতাভ দাষ।
Child and Adolescent counsellor.