জানেন কি আপনার শিশু মিথ্যে বলে কেন ? জেনে নিন, সংশোধনের পথ খুঁজে পাবেন

Bengal Live স্পেশালঃ কে শেখায় শিশুকে মিথ্যে বলা?  আপনার সন্তান কি মিথ্যে কথা বলছে মাঝে মাঝেই ? আপনি চিন্তিত ? ভাবছেন, সে এসব শিখল কিভাবে? পড়ুন। লেখক: অমিতাভ দাষ।

 

পড়ুন গল্প ফাঁদার গল্পঃ 

দৃশ্য একঃ  সোনাদের বাড়িতে তার পিসিঠামমি ঘুরতে এসেছেন ক’দিন হল। বিধবা মানুষ। ধর্মকর্ম নিয়েই বেশি থাকেন। সন্ধ্যাবেলা সোনার ম্যাম চলে গেলে তার সাথে গল্প করে কিছুক্ষণ। তো সেই পিসিঠামমি গত বুধবার সন্ধেবেলা প্রায় অজ্ঞান হয়ে গেছেন সোনার গল্প শুনে। সোনা নাকি তাকে বলেছে, তার বয়সী আরো একটি মেয়ে তার সাথে খেলা করে মাঝে মাঝে। সে সিঁড়ির কোনায় থাকে। যখন সোনা বাথরুমে যায়, সে বাথরুমের দরজার কোনায় দাঁড়িয়ে সোনাকে পাহাড়া দেয়। এইরকম আরো অনেক কিছু। পিসির জেদে ও অত্যাচারে বাড়িতে প্রায় সাত-আট হাজার টাকা খরচা করে বাড়িতে শান্তি যজ্ঞ করা হল। সোনার বাবা ভীষণ বিরক্ত এইসব ঝামেলায়।তিনি নিজে এসব কুসংস্কার বিশ্বাস করেন না। তাঁর মতে অতিরিক্ত কার্টুন আর বাংলা সিরিয়াল দেখার ফল। পিসি তারপর নতুন বায়না ধরেছে। বাড়িতে কালীপুজো করতে হবে। শেষে সোনার বাবা পিসিকে নিজে ট্যাক্সিভাড়া করে মেয়ের বাড়িতে দিয়ে এসেছেন।

দৃশ্য দুইঃ  সৃজনের বয়স আট। পড়াশুনায় বেশ সিরিয়াস। দুস্টুমি তো একটু করবেই। কিন্তু তার সাম্প্রতিক আচার আচরণ ভীষণ চিন্তায় ও লজ্জায় ফেলেছে তার বাবা মাকে। সৃজনের বাবা-মা দুজনেই সরকারি কর্মচারী, মৃদুভাষী। ভদ্র পরিবার। বাড়িতে তাঁরা আছেন না নেই বোঝাই যায় না। তাঁরা ব্যক্তিগতভাবে ভীষণ সৎ ও কর্মনিষ্ঠ। সততায় আর সাহায্যকারী মানুষ বলে তাঁদের পাড়াতেও খুব নাম আছে। এমন বাবা-মায়ের ছেলে হয়েও সৃজন এক অদ্ভুত কাজ করেছে। সে একদিন তার বাড়ির শিক্ষকের হোমওয়ার্ক খাতা লুকিয়ে রেখে বলেছে, কোনো হোমওয়ার্ক ছিল না। তার পরেও একদিন খাতা থেকে অংকের হোমওয়ার্ক ছিঁড়ে ফেলে লুকিয়ে রেখেছিল।তাকে নাকি অংকের হোমওয়ার্ক দেওয়া হয়নি। দুই তিনদিন পরে বিছানার নিচে তা পাওয়া যায়। সৃজনের বাবা-মা বুঝতেই পারছেন না, তাদের ছেলে মিথ্যে বলতে শিখল কিভাবে? এখন তো স্কুলও বন্ধ !

নিজের যত্ন নিন: সন্তানকে বড় হতে দিন।

লায়ার! লায়ার!

বেশিরভাগ মানুষই ভাবেন যে, মিথ্যে কথা বলার কিছু সুনির্দিষ্ট কারণ থাকে। আরো খোলসা করে বললে বেশিরভাগ বাবা-মাই ভাবেন তাদের শিশু শুধুমাত্র কয়েকটি কারণেই মিথ্যে কথা বলে অথবা কারো কাছে মিথ্যে বলতে শেখে। তারা হয় কিছু পাওয়ার জন্য মিথ্যে বলে, অথবা কোনো কিছু থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য। স্কুলে না যাওয়ার জন্য পেট ব্যথার অজুহাত যেমন একটা খুব কমন ক্লিশে মিথ্যে বলার উদাহরণ। কিন্তু একটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই দেখা যাবে, মিথ্যেকে শুধুমাত্র সত্যি নয়, অথবা পাপ ও গর্হিত কাজ, এমন কাজ চারিত্রিক সততা নষ্ট করে, সন্তান মিথ্যুক হয়ে যাচ্ছে; শুধু শুধু এভাবে সরলীকরণ করা সম্ভবত ঠিক নয়। মিথ্যের আছে বিভিন্ন বৌদ্ধিক স্তর এবং বিভিন্ন পর্যায়। মিথ্যে বলতে শেখা হতে পারে একটি মানবশিশুর প্রাণীস্তর থেকে মানবস্তরে উত্তরণের একটি অন্যতম পর্যায়। এটা তো আমরা সবাই জানি যে , পশুরা মিথ্যে বলে না। আসলে তারা মিথ্যে বলতেই পারে না, কারণ মিথ্যে আর সত্যিকে আলাদা করার মত জটিল মস্তিষ্কের বিন্যাস তাদের হয়নি। আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না, যে আপনার শিশু একটি পশুর মতন মানসিক গঠন নিয়ে বেড়ে উঠুক, যে মিথ্যে কথা বলতেই জানে না। তাই জেনে নিন সেসমস্ত কয়েকটি কারণ যার জন্য একটি শিশু মিথ্যে কথা বলে।

 

 

ইমোজির মানে না বুঝে ব্যবহার ? সাবধান ! ইমোজির পেছনে যৌনতার ব্যঞ্জনা

 

পুলিশ ,পুলিশ কৌন হ্যায়ঃ 

ডঃ ক্যারোল ব্রাডি এবং ডঃ ম্যাথিউ রাউস শিশুদের মিথ্যে বলার প্রবণতার ওপর গবেষণা করছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। তাদের মতে এই মিথ্যেগুলিকে লক্ষ্য করলে বাবা-মা তিনটি পর্যায়ে ভাগ করতে পারেন।

বন্ধু-বান্ধবী ও যৌনতা নিয়ে শিশুর মনের কৌতুহল কীভাবে সামলাবেন বাবা-মা ?

 

সাবধান ! কী করবেন নাঃ 

 

সন্তানের মনোযোগের অভাব ? কী করবেন আপনি ?

 

লেখক: অমিতাভ দাষ।
Child and adolescent counsellor.
যোগাযোগ:7001596757

আন্তর্জালের ফাঁদে আপনার শিশুর ভবিষ্যৎ আপনিই নষ্ট করছেন না তো ? ভাবুন

Exit mobile version