বেঙ্গল লাইভ Special

এভাবে বাচ্চাদের খাওয়াবেন না, বুদ্ধি লোপ পাবে, ভবিষ্যৎ গড়তে খাদ্যাভ্যাস পাল্টান

আমরা মা-বাবারা হয়তো ভাবছি যে আমাদের সন্তানদের আমরা ফলের বদলে ফ্রুট জুস, ভাতের বদলে পরোটা, তরকারির বদলে আলুভাজা দিয়ে মোটামুটি কিছুটা পুষ্টি দিতে পারছি।আমিও হয়ত তাই ভাবতাম, যদি আমাদের খাবার এবং শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন পুষ্টি সম্পর্কে পড়াশুনা না করতাম। লিখেছেন অমিতাভ দাষ।

Bengal Live স্পেশালঃ বুবলি ভাত খেতেই চায় না। মাছের ঝোল, তরকারি তো আরো নয়। মাংস হলে তাও দু-চার গ্রাস খাওয়ানো যায় , না হলে নয়। মাঝে মাঝে ডাল আর মুচমুচে আলুভাজা রোচে মুখে। যা খাবে, তাতে সস দিতেই হবে। দশ বছরের মেয়ের কীভাবে পুষ্টি হবে, বর্ষার তা নিয়েই সবসময় দুশ্চিন্তা। ফল খেতে চায় না, তাই প্যাকেট এর ফ্রুট -জুসই ভরসা। লক–ডাউন এর আগে তাও সপ্তাহে দুই-তিন বার রেস্তোঁরার খাবার বাড়িতে আনলে রাতে পেট ভরে খেত মেয়েটা। এখন তাই ম্যাগী আর দু-এক দিন পরপর পরোটা, আলুর তরকারি দিয়েই কোনোমতে ব্যবস্থা হয়।

এটুকু লিখে নিজে নিজেই শিউরে উঠছি ! আর ক্ষতি করতে পারব না বুবলির। সে কাল্পনিক হলেও আমরা জানি, আমাদের আশেপাশে এই রুটিনই চলছে। আমরা মা-বাবারা হয়তো ভাবছি যে আমাদের সন্তানদের আমরা ফলের বদলে ফ্রুট জুস, ভাতের বদলে পরোটা, তরকারির বদলে আলুভাজা দিয়ে মোটামুটি কিছুটা পুষ্টি দিতে পারছি।আমিও হয়ত তাই ভাবতাম, যদি আমাদের খাবার এবং শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন পুষ্টি সম্পর্কে পড়াশুনা না করতাম। বিশ্বাস করুন, আপনি যা খাচ্ছেন এবং আপনার সন্তানকে স্নেহভরে যা যা খাওয়াচ্ছেন, সেগুলোকে বিষ বলতে মুখে বাধলেও সেগুলির কাজ নিঃশব্দ বিষের থেকে কম নয়। আপনি কী খাচ্ছেন, তা নিয়ে আমার বিশেষ মাথাব্যথা নেই। আপনার জীবন, চয়েস আপনার। কিন্তু আপনার সন্তানটিকে এইভাবে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবেন না প্লীজ।

নিচু ক্লাসের বিজ্ঞান বই থেকেই আমরা জানতে পারি যে আমাদের খাবার মোটামুটি চার ভাগে বিভক্ত। যেমন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট এনং খনিজ। এছাড়াও শরীর সুস্থ রাখতে ভিটামিনের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রথম চার ধরণের খাবার আমাদের শরীরের কোষগুলিকে পরিপোষণ করে আর ভিটামিন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। একটু খুঁজলেই কোন খাবার কেন খাওয়া উচিত সে নিয়ে প্রচুর তথ্য ,এমনকি বাংলা ভাষাতেও পেয়ে যাবেন আপনার মোবাইলে। আমাদের শরীর ও মন সুস্থ রাখতে খাবার নিয়ে পড়াশুনা নাহয় করলেনই একটু। অনেক বাজে কাজে আমরা প্রচুর সময় তো এমনিই নষ্ট করি।

কোন খাবার কেন খাওয়া হয়, তা নিয়ে আমি শুধু শুধু আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করব না। আমি বরং আমার আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখি কোন কোন খাবার আমাদের খাওয়া উচিত নয় ,আর খেলে কী কী ক্ষতি হয়, তার ভেতরেই। এখন এই 2020 সালের আশেপাশে আমাদের খাদ্যাভ্যাস যেভাবে চলছে তা মোটামুটি এই রকমঃ

  • একঃ কার্বোহাইড্রেট: আমরা পাচ্ছি ভাত এবং রুটি থেকে। এটাই আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি পরিমানে খাওয়া হয়, পেট ভরে থাকার জন্য।
  • দুইঃ প্রোটিন : আমরা পাই মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, দুধ, বাদাম, পনির এসব থেকে।
  • তিনঃ ফ্যাট : প্রধানত রান্নার তেল, ঘি এবং কিছুটা মাছ ও মাংস থেকে।
  • চারঃ খনিজ : কিছুটা শাকসব্জি, টাটকা ফল এবং কিছুটা দুই ও তিন নম্বর উপাদানগুলি থেকে।
  • পাঁচঃ ভিটামিন: শাকসব্জি এবং টাটকা ফল থেকে, কিছুটা বাদাম জাতীয় শস্য থেকেও।

এবার আপনি দেখুন, আপনার প্রতিদিনের খাবারে কি এসবকিছুই অন্তর্ভুক্ত থাকে। আপনি হয়ত বা ভাবছেন হ্যাঁ, বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই এই তালিকা মানা হয়। কিন্তু সমস্যাটা অন্য জায়গায়।

healthy food for children

একঃ কখনো ভেবেছেন, আপনি যে ভাত খাচ্ছেন, সেটার চাল মেশিনে পালিশ করা এবং চাল চকচকে করার জন্য বহু রাসায়নিক দিয়ে এই পালিশ করা হয় ? তার ফলে আগে সাধারণ ধান ভাঙা মেশিনে বা সাধারণ মিলে ধান ভাঙালে তার শস্যের ভেতরের আবরণ যাও বা থাকত, সেটাও থাকে না। তাই আমরাও পাচ্ছি শুধু খারাপ কার্বোহাইড্রেট দিয়ে তৈরি একটা ফিলার যা আমাদের পেটের ফাঁকা অংশটুকু শুধুই ভরাতে সাহায্য করছে, কোনো পুষ্টি ছাড়াই। তবে একটা ভালো কথা, বাঙালি এখনো ভাতের মাঢ় গেলে খায় বলে রক্ষা। কুকারে ভাত রান্না করে খাচ্ছেন মানে আপনি ধরেই রাখুন, সরাসরি বিষ খাচ্ছেন। সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে নিয়মিত সাদা চাল খেলে ডায়াবেটিস অনিবার্য। (সূত্র : https://theprint.in/science/white-rice-linked-to-diabetes-especially-in-south-asia-says-21-nation-study-done-over-10-yrs/496879/)

healthy food for children

দুইঃ এর পর আসি রুটিতে বা পরোটায় , ময়দা এবং আটায় যে গ্লুটেন থাকে , তা সরাসরি আমাদের ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত হবার পথ তৈরি করে দেয়। আর পেটের সমস্যার কথা তো আমরা সবাই জানি। আমাদের অন্ত্রে এই আঠালো গ্লুটেন আটকে আমাদের সারাজীবনের জন্য করে তোলে গ্যাস-অম্বলের রোগী। অনেকে ভাবছেন ,তাহলে ডাক্তারবাবুরা কেন ডায়াবেটিস হলে রুটি খেতে বলে? অনেকে নিজেও খান। দেখুন, ডাক্তারবাবুরা নিজেরা গবেষক নন, তাঁরা ওষুধ কোম্পানিগুলোর ফাঁদে পা দিয়ে একজন ডায়াবেটিক মানুষকে সারাজীবন ওষুধে নির্ভরশীল করার রাস্তা তৈরি করে দেন। এতে তাঁদের দোষ সামান্য। অনেক ডাক্তারবাবু নিজেও এরকম রুটিন অনুযায়ী খাবার খান। সেক্ষেত্রে ভূষি-যুক্ত আটার রুটি আর তার সাথে প্রচুর শাকসব্জি ও ফল যাঁরা খান, তাঁরা এর ক্ষতিটা সেভাবে বুঝতে পারেন না। আরো বিশদ জানতে খুঁজতে পারেন ইন্টারনেট,( যেমন
https://diabetesstrong.com/gluten-and-diabetes/)
সুতরাং ভাত এবং রুটি আমাদের পুষ্টি দেয় না। এটা জানার জন্য বিশেষজ্ঞ হবার দরকার নেই।

healthy food for children

তিনঃ আমাদের শরীরে প্রোটিনের বেশিরভাগ আমরা আমিষাসীরা পাই মাছ, মাংস এবং ডিম থেকে, আর নিরামিষাসীরা ছানা, দুধ , বাদাম ,পনীর এসব থেকে। দেশের জনসংখ্যা বেশি বলে প্রচুর উৎপাদন করার জন্য গরুকে অক্সিটোসিন ইনজেকশন, মাছকে নাইট্রোজেন সার জাতীয় খাদ্য, মুরগি ও ছাগলদের বিভিন্ন রকম ওষুধ ও ইনজেকশন খাওয়ানো হচ্ছে। এ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অন্ধকারেই রাখা হচ্ছে। খুব কম বয়সে তাই রোগাক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে হাড়ের অসুখ, নার্ভের সমস্যা, মনোযোগহীনতা, বুদ্ধিহীনতা। মায়ের গর্ভেই শিশুর জিনগত-সংরূপণ (genetic configuration) পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে সকলের অগোচরে। বন্ধ্যাত্বও ক্রমে ক্রমে বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। ( সূত্রঃ https://www.google.com/amp/s/m.hindustantimes.com/fitness/the-milk-you-drink-may-contain-steroids-that-can-cause-infertility-here-s-what-to-do/story-BUrfhdFHy0xzSBfHSl5qsL_amp.html)

চারঃ আমরা যে রান্নার তেল খাচ্ছি, ঘি খাচ্ছি, পনির খাচ্ছি, তা কি ভেজালমুক্ত। বিজ্ঞাপনে দেখানো সর্ষের তেলের ঝাঁঝ কি তেলেরই ঝাঁঝ, নাকি কোনো বিশেষ অ্যসিড-এর ? খাঁটি সর্ষের তেল এক-দুই মাসেই গন্ধ হয়ে যায়। বেশিদিন তাকে বোতলে রাখা যায় না। ঘি বা পনিরের ক্ষেত্রেও সেটা কতটা খাঁটি, সে নিয়ে আপনি প্রশ্ন না তুললে উত্তরই বা জানবেন কী করে? সারাক্ষণ যে রিফাইন্ড তেলের বিজ্ঞাপনে আপনি মুগ্ধ হচ্ছেন, সে তেল কত ক্ষতিকর তা জানার অধিকার আপনারই সবথেকে বেশি। পড়ুন (https://happilyunprocessed.com/the-basics/refined-oils-and-why-you-should-never-eat-them/)

পাঁচঃ শাক-সব্জি এবং ফলগুলিও আজকাল সার, কীটনাশক সমৃদ্ধ হয়েই আপনার কাছে আসছে। তাই সেগুলি নিয়েও বেশি আশাবাদী হবার কারন নেই। আলু আর ধুলোকাদা খাবারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। নতুন আলুর ক্ষেত্রে অবশ্য ক্ষতি কম। যত দামি ফল, তাতে তত কারসাজি। শাকসবজির পাতায় যাতে পোকা না লাগে, সেজন্য বিষাক্ত কীটনাশক দেওয়া হয়। বাঁধাকপি, ফুলকপিতে দেওয়া হয় সবচেয়ে বেশি কীটনাশক।

ছয়ঃ আপনার সন্তানকে এসব বিষ খাওয়ানোর পরও আরো বিষের ব্যবস্থা আপনি করছেন রেস্তোঁরার খাবার, চিপস, কোল্ড ড্রিংকস এসব খাইয়ে। তার সরাসরি ফল পাওয়া যাচ্ছে এখনকার শিশুদের ব্যবহার, মনোযোগ, অসুখ-বিসুখের ধরণ, গভীরভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা, অন্যদের সাথে মানিয়ে নেবার ক্ষমতা, দূরদৃষ্টির ক্ষমতা এই সব ক্ষেত্রগুলির উপর। তাদের খাওয়া-দাওয়া প্রভাব ফেলছে, শুধু শরীরে নয়, মনেও।

অভ্যাস পাল্টানঃ

খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস পাল্টানোই এখন বুদ্ধিমানের কাজ। যেভাবে পাল্টেছেন সাইকেল ছেড়ে গাড়ি চালানোর অভ্যাস, ফোনের অভ্যাস, সময়কে কাজে লাগানোর অভ্যাস।সেভাবেই বুদ্ধি করে আপনার শিশুর খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস পাল্টে ফেলুন। রেস্তোঁরার খাবারে নির্বিচারে দেওয়া হয় রং এবং আজিনামোতো সহ বিষাক্ত রাসায়নিক যাতে খাবারের স্বাদ ও বিক্রি বাড়ে। কিন্তু এইসব বেশি খেলে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে হয়ে যায় অসাড়, অক্ষম। ইউটিউবে চোখ রাখুন, গুগুল এ সার্চ করুন। সময় নিয়ে খুঁজুন বিকল্প।
( পড়ুন : https://www.piedmont.org/living-better/foods-and-drinks-that-compromise-your-immune-system)

কিছু বিনীত টিপসঃ

একঃ কিছু কিছু শাকসব্জি বাড়িতে টবেই চাষ করা যায়। যেমন কুমড়ো (শাক খাবার জন্য), টমেটো, লঙ্কা, পেঁপে, ঢেঁড়শ, ধনেপাতা, মেথিশাক, এমনকি ডাঁটাশাক ইত্যাদি। বাড়ির ফসলে কীটপতঙ্গ তাড়ানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন সাবানজল, নিমপাতা ফোটানো জল ইত্যাদি।

দুইঃ ভাত খাবার অভ্যেস কমান। তার বদলে বিভিন্ন শস্য মিলিয়ে মিশিয়ে খান। যেমন কাউন, শ্যামাচাল, দালিয়া, বিভিন্ন মিলেট জাতীয় শস্য। রান্নার পদ্ধতি একদম সোজা। ইউটিউবে পেয়ে যাবেন। শাকসব্জি বেশি করে খান পেট ভরার জন্য, ভাত বা রুটির বদলে। মাত্র দু -এক মাসের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

small fish

তিনঃ ছোট মাছ বা পোনা মাছ বেশি খান। মনে রাখবেন যত বড় মাছ, তত বেশি কৃত্রিম পদ্ধতি। মাসে এক বার বড় মাছ খেতে ইচ্ছে হলে খান।
মাংস যত পারেন কম খান। ডিমে ভেজাল দেয়া কঠিন। তাই ডিম খাওয়া যেতে পারে। দেশি হলে বেশি ভালো।

চারঃ রান্নার তেল আপনার আশেপাশের পাড়ার মিল থেকে সংগ্রহ করুন, যদি পারেন। না পেলে দোকানে তেলের বোতলের বা ড্রামের লেবেলে দেখে নিন তেলে কী কী জিনিস মেশানো হয়েছে। এখন এই লেবেল কিন্তু আইনত বাধ্যতামূলক।আপনাকে তাই সচেতন থাকতে হবে।

fruits

পাঁচঃ মরসুমের ফল যেমন আম, জাম, আনারস, তরমুজ এসব বেশি খান। খান লেবু জাতীয় ফল বেশি করে। এদের খোসা মোটা বলে কীটনাশক সহজে প্রবেশ করতে পারে না। দেশি ছোলা, সাধারণ বাদাম ভিজিয়ে বা রান্না করে খান।এদের দানা খোসার ভেতরে থাকায় সার ও বিষের প্রবেশ এদের ক্ষেত্রে কম হয়।

ছয়ঃ বাচ্চাদের চিপস, চকোলেট খাবার বায়না আটকাতে বাড়িতে নিমকি তৈরি করুন, গুড় দিয়ে খুরমা কিনুন বা বানান বাড়িতেই। রেস্তোঁরার নামকরণ করা খাবার কিন্তু বাড়িতেই বানানো যায়। এখন বিরিয়ানি মশলা, দোসা মসলা সব বড় দোকানেই রাখে। ডালমুট, ছোলা সেদ্ধ করে মাখা এসব খাবার বাড়িতে বানানো অভ্যাস করুন। অভ্যাসে কী না হয় !! তবে মাসে একবার একটা চিপস এর প্যাকেট কিনে দিলেনই বা। বাচ্চাদের মনে কষ্ট দিতে নেই, তাই না !!

সাতঃ সাদা চিনি পারলে বাদ দিয়ে দিন জীবন থেকেই। সাদা চিনি এবং রিফাইন্ড চিনি তৈরি করতে কী ভয়ানক রাসায়নিক ব্যবহার হয়, তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। গুড় খান, মধু খান, কিন্তু চিনি আর চিনি দিয়ে তৈরি যা কিছু, যত কম খাবেন, স্নায়বিক অসুখ তত দূরে থাকবে। আরো জানতে চাইলে খুঁজুন এর ভয়ঙ্কর প্রভাব, পেয়ে যাবেন। (যেমন : https://www.health.harvard.edu/heart-health/the-sweet-danger-of-sugar)

আপনার স্বাস্থ্য আপনার খাবারেঃ

আমরা যখন জন্মাই , গড়ে মানবশিশুর ওজন থাকে সাড়ে তিন কেজি। তারপর আমরা যা বেড়ে উঠি, যতটা বেড়ে উঠি শারীরিক ও মানসিক ভাবে, তা কিন্তু খাদ্যের ফলেই। আপনি যখন যা খাচ্ছেন, খাওয়াচ্ছেন তা দিয়ে তৈরি হচ্ছে আপনার ও আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ। কী খাচ্ছেন, কী খাওয়াচ্ছেন, কেন খাওয়াচ্ছেন….একটু চিন্তাভাবনা করে খান এবং খাওয়ান। বুবলি আর বুবলির মা বর্ষার মতো চলতে থাকলে কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে এই চিন্তা করার ক্ষমতাটুকুও লোপ পাবে আপনার সহ আপনার সোনামনিরও।

প্রতিদিন কী খাচ্ছে আপনার সন্তান? কী খাচ্ছেন আপনি ? বিষ নয় তো!!
একটু ভাবুন।

অমিতাভ দাষ।
Child and adolescent counsellor.
Certified psycotherapist
Whatsapp: 7001596757

Related News

Back to top button