উত্তর দিনাজপুরের দ্বিতীয় প্রাচীন স্কুল মারনাই শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়
হাতির ঘর থেকে হাইস্কুল। শতবর্ষ প্রাচীন স্কুলের বহু অজানা তথ্য, অজানা ইতিহাস তুলে ধরলেন বিশিষ্ট ইতিহাস অন্বেষক বৃন্দাবন ঘােষ।
Bengal Live স্পেশালঃ আজ আপনাদের শোনাবো এই উত্তর দিনাজপুর জেলারই দ্বিতীয় প্রাচীনতম স্কুলের কাহিনী। চূড়ামণ প্রহ্লাদচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের পরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইটাহার ব্লকের মারনাই গ্রামে মারনাই শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়।
গোড়ার কথাঃ
আজকের মারনাই শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় ১৮৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় স্থানীয় জমিদার উপেন্দ্র নারায়ণ পালচৌধুরীর উদ্যোগে। প্রথমে জমিদারদের হাতিশালায় পঠনপাঠন চলতাে। বর্তমান মারনাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে দিনাজপুর মহারাজাদের কাছারী বাড়ি ছিল। দিনাজপুরের মহারাজা এই কাছারীর পাশে শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জমি দান করেছিলেন। গ্রামের মানুষজনের সহযােগিতায় সেখানে ১৯১০ থেকে ১৯২৫ সালের সময়কালে বাঁশের বেড়া ও টিনের ছাউনি দিয়ে কয়েকটি ঘর নির্মাণ করা হয়। উপেন্দ্রকিশাের নন্দী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। জমিদার উপেন্দ্র নারায়ণ পালচৌধুরীর মৃত্যুর পর স্কুলঘরটি ঘুর্ণি ঝড়ে ভেঙে পড়লে তৎকালীন জমিদার শশিভূষণ পালচৌধুরী ঐ বিদ্যালয় কাছারী বাড়িতে স্থানান্তরিত করেন । কাছারীবাড়ি থেকে হাতিশালায় এবং হাতিশালা থেকে পুনরায় কাছারীবাড়ির প্রাঙ্গনে সংস্কার করা একটি ঘরে বিদ্যালয়টি উঠে আসে। প্রধান শিক্ষক রাধিকারঞ্জন সরকারের উদ্যোগে ১৯২৪ সালে বিদ্যালয়টি মারনাই এম ই স্কুলের স্বীকৃতি লাভ করে। জমিদার শশিভূষণ পালচৌধুরীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে রসরাজ কুণ্ডু প্রধান শিক্ষকদের পদে যােগ দেন। সেখানে বিপিন বিহারী মজুমদার , বলরাম ঘােষ , কার্তিক ঘােষ প্রমুখ শিক্ষা দান করতেন। স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা প্রাক্তন বিধায়ক বসন্তলাল চট্টোপাধ্যায় মহাশয় ১৯২৩ সাল থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত এই বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯৪৭ সালে নিরঞ্জন মণ্ডল এই এম ই স্কুল থেকে চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা দেন।
আন্তর্জালের ফাঁদে আপনার শিশুর ভবিষ্যৎ আপনিই নষ্ট করছেন না তো ? ভাবুন
উত্তরণের সোপানঃ হাতিশালা থেকে হাইস্কুল…
প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র ভট্টাচার্যের উদ্যোগে এই বিদ্যালয়ে ১৯৪৮ সালে সপ্তম শ্রেণীর পঠনপাঠন শুরু হয়। প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য্য বড়াে জায়গার জন্য বিদ্যোৎসাহী গ্রামবাসীদের নিয়ে সভা ডাকলেন। উক্ত সভায় গ্রামের ধনী বলে পরিচিত দে ও নন্দী পরিবার কিছু জমি দান করে। ১৯৫৩ সালে প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য্য ও অ্যাডভােকেট দুর্গাপদ সরকারের উদ্যোগে এই বিদ্যালয় জুনিয়র হাইস্কুলের অনুমােদন লাভ করে। ১৯৫৪ সালে পঞ্চম শ্রেণীতে গীতা চক্রবর্তী , বেলি নন্দী , দীপ্তি দে , বলরাম বসাক , লেবকুমার দে সহ আরাে কিছু ছাত্রছাত্রী পড়তাে। তখন প্রশান্ত কুভু , প্রাণকৃষ্ণ ঘােষ , কানাই নন্দী , অমর ভট্টাচার্য প্রমুখ শিক্ষক পাঠ দান করতেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরােধে শরচ্চন্দ্র দে ১৯৬২ সালে স্কুলের বাড়িঘর নির্মাণের জন্য দশ হাজার রৌপ্য মুদ্রা দান করেন। সেই কারণে বিদ্যালয়টি মারণাই শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় নামে অভিহিত হয়। কুঞ্জবালা নন্দীও এই বিদ্যালয়ের উন্নয়ণের জন্য কুড়ি বিঘে জমি দান করেন। বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ ও ছাত্রাবাস নির্মাণে নিখিলেন্দ্র নাথ কুন্ডু , রাঘব নন্দী , চন্দ্রকিশাের নন্দী , ধীরেন্দ্রনাথ দে , ভবেন্দ্রনাথ কুন্ডু প্রমুখ ব্যক্তি নানাভাবে সাহায্য করেন। ১৯৬২ সালে প্রধান শিক্ষক চন্দ্র কর্মকার মহাশয়ের প্রচেষ্টায় এই বিদ্যালয় হাইস্কুলে ( মেমাে নং ৭১৫৯ / জি , ছােটভ- ০৩.০৫.১৯৩২ ) উন্নীত হয়।
মাধ্যমিকে প্রথম স্টারঃ
১৯৬৪ সালে ১৭ জন স্কুল ফাইনাল পরীক্ষা দেয় এবং চার জন পাস করে। ১৯৭৮ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক পরীক্ষায় শতকরা কখনও ৮৪ জন, কখনও ৯৩ জন , আবার কখনও ১০০ জনই পাশ করে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ১৯৭৯ সালে প্রথম সমীর নন্দী প্রথম বিভাগে পাশ করে। ১৯৮৩ সালে প্রথম কাবেরী পাল স্টার মার্কস নিয়ে উত্তীর্ণ হয়। ঐ বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেয়েদের মধ্যে কাবেরী পাল উত্তরবঙ্গে প্রথম স্থান অধিকার করে। ২০০৩ সালে প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র দত্তের উদ্যোগে বিদ্যালয় দ্বাদশ শ্রেণীতে ( মেমাে নং- ডিএস ( এ ) এসভি / ১০২ / রেকগ / ০৩ , ডেটেড- ১২.০৮.২০০৩ ) উন্নীত হয়। ২০১২ সালে এই বিদ্যালয় উচ্চ মাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগে পঠনপাঠন চালু করার অনুমতি লাভ করে। তার ফলে বিশেষ করে এই এলাকার ছেলেমেয়েদের উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিষয়ে পঠনপাঠনের অনেক সুবিধে হয়। ২০০৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৩০ জন পরীক্ষা দেয় এবং ১৯ জন পাস করে। ঐ বছরে নমিতা ঘােষ প্রথম বিভাগে এবং ২০১৩ সালে প্রথম আবু বক্কর সিদ্দিক স্টার মার্কস্ নিয়ে পাস করে ।
সার্ধশতবর্ষ পার করে চূড়ামণ উচ্চ বিদ্যালয়, জেলার প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
প্রধান পদে আসীন যাঁরাঃ
বিভিন্ন সময়ে এই বিদ্যালয়ে উপেন্দ্র কিশাের নন্দী, রসরাজ কুন্ডু , হেম চন্দ্র চক্রবর্তী , রাধিকা রঞ্জন সরকার , রাখহরি রায় , ব্রজশঙ্কর সরকার , সীতেশ দত্ত , রমেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য , অতীশ মিত্র , দেবেন্দ্র নাথ গাঙ্গুলি , সুনীল পাল , যাদব কর্মকার , অধীর সেনগুপ্ত , বােমকেশ ভট্টাচার্য্য , সুনীল বিশ্বাস , সােমশঙ্কর সিন্হা , সীতারাম ভট্টাচার্য্য , নারায়ণ দত্ত প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসে দায়িত্ব সামলেছেন। উপেন দত্ত ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের এবং সুনীল মােদক প্রমুখ প্রধান শিক্ষক পদে আসীন হন। বিভিন্ন সময়ে এই বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সম্পাদকের পদে উপেন্দ্র নারায়ণ পালচৌধুরী , শশিভূষণ পালচৌধুরী , ভবেন্দ্ৰনাথ কুন্ডু , গুরুপদ সরকার , গােপাল চন্দ্র পাল , গােপেন চন্দ্র দে , অসীম কুমার পাল , সন্তোষ কুমার ঝা , প্রবােধ ঘােষ , নজরুল ইসলাম , গণেশ যুগি , সুভাষ চৌধুরী প্রমুখ নির্বাচিত হন এবং প্রেসিডেন্টের পদে প্রশান্ত সরকার মনােনীত হন।
স্কুলের উন্নয়নে যাত্রাগানঃ
ব্যোমকেশ ভট্টাচার্যের আমলে কখনও বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ধান সংগ্রহ করে, কখনও যাত্রাগানের আয়ােজন করে অর্থ সংগ্রহ করে ইটের দেওয়াল ও টিনের ছাউনি দেওয়া এল প্যাটার্নের ছয় কক্ষবিশিষ্ট একটি বাড়ি তৈরী করা হয়। সেই সঙ্গে দুই কক্ষের একটি পাকা ঘর গড়ে তােলা হয়। স্কুলের নিজস্ব কৃষি জমি থেকে বাৎসরিক কিছু আয় হত। সেই টাকা স্কুলের উন্নয়নে ব্যয় করা হত। উপেন দত্তের আমলে ১৯৯৯ সালে বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদ্যাপিত হয় । এই অনুষ্ঠানকে উপলক্ষ্য করে অঙ্কুর নামে একটি স্মরণিকার প্রকাশ ঘটে। এই শতবর্ষ কমিটির উদ্যোগে বিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী ভবন নির্মিত হয় । এই ভবন নির্মাণে জেলা পরিষদ ও সাংসদ তহবিল থেকে সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা এবং শতবর্ষ কমিটি থেকে দুই লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। নারায়ণ চন্দ্র দত্তের সময়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ণ পর্ষদ এবং জেলা সর্বশিক্ষা মিশন থেকে বিদ্যালয়ের ঘরবাড়ি ও ছাত্রাবাস নির্মাণে আর্থিক অনুদান মেলে। পুরনাে বাড়ি ভেঙ্গে নতুন বাড়ি গড়ে তােলা হয়। সরকারী অনুদানে বিশাল ই প্যাটার্নের ত্রিতল বাড়ি এবং সাংস্কৃতিক মঞ্চ গড়ে ওঠে।
এভাবে বাচ্চাদের খাওয়াবেন না, বুদ্ধি লোপ পাবে, ভবিষ্যৎ গড়তে খাদ্যাভ্যাস পাল্টান
বিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক স্বর্ণযুগঃ
প্রধান শিক্ষক ব্যোমকেশ ভট্টাচার্য্য দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার ফল ভালাে করার জন্য রাতে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের রেখে বিশেষ কোচিংয়ের ব্যবস্থা করেন এবং তার সুফলও মেলে। তারপরই বিদ্যালয়ে হােস্টেল চালু করা হয়। বিদ্যালয়ের দক্ষিণ দিকে স্টাফ কোয়ার্টার ছিল। যােগাযােগ ব্যবস্থা ভালাে না থাকার কারণে সেখানে ছয়জন শিক্ষক থাকতেন। সােমশঙ্কর সিনহার ( ১৯৭৬-১৯৮৪ ) আমলে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের স্বল্প সঞ্চয়ের জন্য সঞ্চয়িকা নামক তহবিল , গ্রন্থাগার , দেওয়াল পত্রিকা , সবজি ক্ষেত , উদ্যান প্রভৃতি গড়ে উঠে। ব্লক এবং রাজ্যস্তরের সাংস্কৃতিক প্রতিযােগিতায় বহু ছাত্রছাত্রী পুরস্কৃত হয়। দেওয়াল পত্রিকাও দুবার রাজ্যে পুরস্কৃত হয়। তাঁর সময়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার সাফল্যের হার ১০০ % এ পৌঁছায়। কেউ কেউ তাঁর সময়কে বিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক স্বর্ণযুগ বলে অভিহিত করেন। ২০১৯ সালে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ২৭ জন , পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকা ৪ জন , শিক্ষাকর্মী ৩ জন এবং ছাত্রছাত্রী ১৮১৯ জন। অধিকাংশ শিক্ষক শিক্ষিকা রায়গঞ্জ থেকে আসা যাওয়া করেন। সােমশঙ্কর সিনহা , সুনীল চন্দ্র মােদক ও রঞ্জন কুমার দাস মাধ্যমিকের প্রধান পরীক্ষকের পদে নিযুক্ত হন। ছাত্রছাত্রীদের শতকরা পঁয়ষটি ভাগ সংখ্যালঘু , তিরিশ ভাগ সাধারণ এবং পাঁচ ভাগ তপশীলি জাতি উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত। মারনাই , ঘৃততলা , বিন্তিপুর , বীরনগর , বগভুমা , মালঞ্চি , বাঙ্গার , মির্জাদীঘি , শিশই প্রভৃতি এলাকা থেকে ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসে। তাদের পরনে নীল-সাদা পােষাক থাকে।
খেলাধুলোঃ
এই বিদ্যালয়ে ফুটবল , ভলিবল , কবাডি , খাে – খাে খেলার দল ছিল। তারা ব্লক ও জেলাস্তরের প্রতিযােগিতায় যোগ দিত। বিপক্ষ খেলােয়াড়দের কাছে এরা মারনাইয়ের ঘােড়া বলে পরিচিত ছিল। অনুরাধা সাহা , নৃপেন্দ্রনাথ ঘােষ , শীর্ষ মহম্মদ , রেখা কর্মকার , স্বপ্না মণ্ডল , প্রীতিলতা পাল , নীরু সাহা , সরিফুল ইসলাম , মহম্মদ আফাজুদ্দিন , আনসারুল হক , আব্দুল রসিদ এবং আরও অনেক ছাত্রছাত্রী খেলাধুলায় সুনাম অর্জন করে। প্রাক্তন ছাত্র প্রহ্লাদ কুমার পাল , গীতা চক্রবর্তী ও জগদীশ সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের , শুভঙ্কর নন্দী ও অলক সরকার ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের , আব্দুল মাতিন জাহাঙ্গীর হক চৌধুরী দন্ত চিকিৎসকের এবং আব্দুস সালাম খান ইঞ্জিনিয়ারের পদে নিযুক্ত হয়ে এই প্রতিষ্ঠানকে গর্বিত করেন। এই বিদ্যালয় প্রথম দিকে কয়েকবার স্থান পরিবর্তন করে। ১৯৮৭ সালে সুই নদীর বিধংসী বন্যায় বিদ্যালয়ের বাড়িঘর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন এই বিদ্যালয়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নষ্ট হয়ে যায়। তবু বহু বাধাবিঘ্ন পার করে এই শতাব্দী প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকার বহু ছেলেমেয়েকে জ্ঞানের আলাে দেয় , মুখে হাসি ফোটায় , সংসারে সুখ শান্তি এনে দেয়।
বন্ধু-বান্ধবী ও যৌনতা নিয়ে শিশুর মনের কৌতুহল কীভাবে সামলাবেন বাবা-মা ?
(তথ্য সূত্র : অঙ্কুর , শতবর্ষ পূর্তি স্মরণিকা , ১৯৯৯-২০০০ , মারণাই শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার : প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র দত্ত ও সােম শঙ্কর সিন্হা । প্রধান শিক্ষক সুনীল মোদক । প্রাক্তন শিক্ষক চিত্তরঞ্জন পাল । শিক্ষক অমিত দাস । প্রাক্তন ছাত্র অক্ষয় পাল । মারণাই শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়।)