NBlive রায়গঞ্জঃ এনডিএ জোটে সামিল হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী। এনডিএ-এর ২৬ তম শরিক দল হিসেবে শনিবার বালুরঘাটের গুলমোহর ভবনে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ঘোষণা করলেন করিম চৌধুরী। এবং করিম বাবুর দাবী, এনডিএ-এর শরিক হিসেবে আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপির সমর্থনে বাংলা বিকাশবাদী কংগ্রেসের রায়গঞ্জের প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। তাঁর দাবী, এই বিষয়ে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের সাথে আগেই কথাবার্তা হয়েছে।ইসলামপুরের নয়বারের বিধায়ক করিম চৌধুরী তৃণমূল ছাড়ার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ তারিখে নিজের দল গঠন করার কথা ঘোষণা করেন। বাংলা বিকাশবাদি কংগ্রেস গড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে কংগ্রেস তথা জোট প্রার্থী কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন গ্রন্থাগার মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী। কিন্তু জোট প্রার্থীর কাছে পরাজিত হতে হয় বর্ষিয়াণ এই নেতাকে। এরপর কানহাইয়ালাল আগরওয়াল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলে ক্রমশ তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে করিম চৌধুরীর। এরপর একরাশ ক্ষোভ আর অভিমান নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দীর্ঘ এক পাতার চিঠি লিখে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে দেন করিম চৌধুরী।
দীর্ঘদিনের পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ করিম চৌধুরী ইসলামপুরে নয়বার বিধায়ক হয়েছেন। এমনকি নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েও ভোটে জিতে নিজের ক্যারিশমা দেখিয়েছেন তিনি। ইসলামপুরে করিম সাহেবের নিজস্ব একটি ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। ফলে তাঁর মতন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব বিজেপির শরিক হওয়ায় ইসলামপুরের রাজনৈতিক সমীকরণ অনেকটাই অদল বদল হয়ে যেতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। এর প্রমান মিলবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে। বিজেপির সাথে হাত মিলিয়ে কতটা রাজনৈতিক সাফল্য পান করিম চৌধুরী এখন সেটাই দেখার।
এই বিষয়ে বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, করিম চৌধুরীকে স্বাগত জানাই।
তাঁর মতন নেতা এনডিএ জোটে সামিল হওয়াতে বিজেপি জেলায় আরও শক্তিশালী হবে সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।