মাছের পেটে লৌহবাসর! এ কোন মঙ্গলকাব্য?
ওয়েব ডেস্কঃ ওয়েব ডেস্কঃ বাজারে যাচ্ছেন? মাছ কিনবেন নিশ্চয়? তাহলে সাবধান ! একটু দাঁড়ান ! বাজারে যাওয়ার আগে এনবি লাইভের আতস কাচটায় একবার চোখ বুলিয়ে নিন। নইলে রাম ঠকান ঠকতে হবে আপনাকে।
শুনুন তাহলে, মাছের গায়ে জল ছিটিয়ে ওজন বাড়ানো কিংবা হাতের কৌশলে পাল্লায় ওজন বাড়িয়ে দেখানো – এসব এখন পুরোনো পদ্ধতি। ঠগবাজির নতুন পন্থা আবিস্কার করেছেন ধুরন্ধর মাছ ব্যবসায়ীরা। বেশি দূরে নয়, আপনার শহরেই চলছে এই ঠগবাজদের রমরমা কারবার। কীভাবে?
ধরুন, আপনি একটা ১ কেজি ওজনের রুই কিংবা ইলিশ কিনলেন। আপনার চোখের সামনেই ওজন করে দেখিয়ে দেওয়া হল। কিন্তু মাছটার ওজন আসলে ১ কেজি নয়। সেটার আসল ওজন ৭০০ গ্রাম। বাকি ৩০০ গ্রাম লোহার ওজন। হ্যাঁ, চোখ চড়কগাছে তুলবেন না। এটাই সত্যি। ওজন বাড়াতে মাছের মুখ দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে ছোট ছোট লোহার বল বা ক্যাপসুল। মাছের সাইজের সঙ্গে ওজনের তুলনা করে আপনার ভ্রুযুগল হযতো কিঞ্চিৎ কুঞ্চিত হতে পারে। কিন্তু জোর গলায় কোনও আওয়াজ তুলতে পারবেন না। কারণ ওজন বাড়ানোর সমস্ত কৌশলটাই ঘটছে আপনার চোখের আড়ালে। মাছের ওজন পাল্লায় দেখে নেওয়ার পর আপনিই হয়তো স্ত্রীর সুখের কথা চিন্তা করে কিংবা তাঁর মুখঝামটা খাওয়ার ভয়ে মাছের দোকানদারকে বললেন মাছটা একটু পিসপিস করে কেটে দিতে। ব্যস্! এই মাছ কাটার সময়েই দোকানের পেছনে আপনার চোখের আড়ালে কিংবা চোখের সামনেই হাত সাফাইয়ের কৌশলে লোহার বলগুলো বের করে নেওয়া হয়। এতে ক্ষতির পরিমানটা হিসেব কষেছেন? আপনি ১ হাজার টাকা দিয়ে একটি ১ কেজি ওজনের ইলিশ মাছ কিনলেন, আর সেই মাছের পেট কেটে ৩০০ গ্রাম লোহার বল বের করে নেওয়া হল। অর্থাৎ আপনার ক্ষতির পরিমানটা ৩০০ টাকা। এবার নিশ্চয় ভাবছেন, ইস্ ! যদি ওগুলো লোহার বল না হয়ে সেই শকুন্তলার গল্পের মতো সোনা আর হীরের অঙ্গুরীয় হতো ! তাহলে আস্ত মাছটাই স্ত্রীর হাতে তুলে দিয়ে গদগদ মুখে বসে থাকতেন মজা দেখার জন্য, তাই তো? ছারুন ওসব। গল্পের গরু গাছে ওঠে। এটা বাস্তব। এবার থেকে বাজারে মাছ কিনতে গিয়ে ওজন করা থেকে কেটে পিস করে দেওয়া পর্যন্ত কড়া নজর রাখুন মাছ ব্যবসায়ীর উপরে। অবশ্যই যদি ঠকতে না চান।