বিশ্ব উদবাস্তু দিবস: ভিটে ছাড়াদের সাতকাহন
NBlive.in: মাস কয়েক আগে সমুদ্র সৈকতে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা আয়লানকে ভুলে যাননি নিশ্চয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই দৃশ্য নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বের বিবেককে। পৃথিবী জুড়ে উদ্বাস্তুদের করুন পরিস্থিতি ও অসহায় অবস্থার বর্ণনা বাঙ্ময় হয়ে উঠেছিল সেই নির্মম নির্বাক ছবিতে। আজ বিশ্ব উদ্বাস্তু দিবস। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ থেকে শুরু হয়েছিল যে উদ্বাস্তু স্রোত, সেই প্রবাহ আজও থামেনি। বরং বেড়েছে। পৃথিবীর একাধিক দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ পূর্ব পুরুষের ভিটেমাটি ছেড়ে আজ বাস্তুহারা। সুদান, সিরিয়া, ইথিওপিয়া, আফগানিস্তানের মতো দেশগুলিতে আজ এটি একটি জ্বলন্ত সমস্যা। উদ্বাস্তুদের যন্ত্রণা দেখেছে এ দেশও। সাতচল্লিশের দেশভাগ কিংবা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশেও আছড়ে পড়েছিল ছিন্নমূল মানুষের ঢেউ। সেইসব চালচুলোহীন দেশান্তরী মানুষকে উৎসর্গ করেই ২০ শে জুনকে বিশ্ব উদ্বাস্তু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে রাষ্ট্র সংঘ। ২০০১ সাল থেকে দিনটিকে বিশ্ব জুড়ে উদ্বাস্তুদের কল্যাণে শপথ নেওয়ার দিন হিসেবে উদযাপন করে আসছে রাষ্ট্র সংঘের পাশাপাশি একশরও বেশি দেশ। শিকড় উপরানো সেই মানুষগুলোর যন্ত্রণায় সমব্যথী আমরাও।
এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক সারা বিশ্বে উদবাস্তুদের নিয়ে কিছু তথ্যঃ
- বর্তমানে সারা বিশ্বে ভিটে ছাড়া মানুষের সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৫০ লক্ষ ৩০ হাজার।
- প্রতিদিন ৪২৫০০ মানুষ ভিটে ছাড়া হচ্ছে।
- এদের মধ্যে ৫১ শতাংশ উদবাস্তুই শিশু ও কিশোর ।
- রাষ্ট্রসংঘের হাইকমিশন ফর রিফিউজির রিপোর্ট অনুসারে ষাট কোটি মানুষ আজ ভিটে ছাড়া।
- পৃথিবীর ৮৬শতাংশ উদবাস্তু ঠাই পেয়েছে উন্নত দেশ গুলিতে।
- ২০১৬ রিও অলিম্পিক্সে রিফিউজিরা আলাদা একটি দেশ হিসেবে অংশ গ্রহন করবে।
- পৃথিবীর সবথেকে বড় রিফিউজি ক্যাম্পটি কেনিয়ার দাদাব শহরে। যদিও নিরাপত্তাজনিত কারণে ডিসেম্বর ২০১৬ -র মধ্যে এই ক্যাম্প বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই মুহুর্তে এই ক্যাম্পে প্রায় ৩ লক্ষ ৩০ হাজার শরনার্থী আশ্রিত হয়ে আছেন।