বাড়ি থেকে বিতাড়িত বৃদ্ধ দম্পতির পাশে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন

NBlive রায়গঞ্জঃ খবরের জেরে ঘরছাড়া সুভাষগঞ্জের বৃদ্ধ দম্পতির পাশে দাঁড়ালো উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। senior citizen maintenance act’র মাধ্যমে মামলা শুরু করল জেলা প্রশাসন। জেলা শাসক আয়েষা রানীর নির্দেশে এই মামলা শুরু করেন মহকুমা শাসক টি.এন শেরপা। এই মামলায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বৃদ্ধ দম্পতির খরচ চালানোর জন্য মাসিক ৩০০০ টাকা করে দুই ছেলেকে দেওয়ার নির্দেশ দেন মহকুমা শাসক। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন মহকুমা শাসক।

মা বাবার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করার অভিযোগ ওঠে ছেলের বিরুদ্ধে। গত ১৬ মার্চ রোজগেরে ছেলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগেই সরব হয়েছিলেন রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা নিমাই ঘোষ ও সরস্বতী ঘোষ। প্রতিকার চেয়ে রায়গঞ্জ থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ দম্পতি।

জানা গেছে, সুভাষগঞ্জের নিজের বাড়িতেই থাকতেন নিমাই ঘোষ ও সরস্বতী ঘোষ। ছোট ছেলে মানিক ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী একই বাড়িতেই থাকেন। অভিযোগ, ছেলে রোজগার করলেও বৃদ্ধ অবস্থাতেও নিমাই বাবুকে রোজগার করে নিজের সংসার চালাতে হয়। নিমাই বাবুর আরও অভিযোগ, বাড়িটি নিজের নামে লিখিয়ে নেওয়ার জন্য শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচারও চালায় ছেলে মানিক।

এই অভিযোগ নিয়ে প্রথমে স্থানীয় পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিমাই ঘোষ। পঞ্চায়েতের তরফ থেকে ছেলে মানিক ঘোষকে এই বিষয়ে সতর্ক করা হলেও অত্যাচারের পরিমাণ কমেনি। এরপর গত বৃহস্পতিবার বৃদ্ধ দম্পতিকে মারধর করে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে দেয় ছেলে বলে অভিযোগ করেন নিমাই বাবু। রাতভর রাস্তায় কাটানোর পর শুক্রবার সকালে স্থানীয়দের নজরে বিষয়টি আসে। চা পাউরুটি খাওয়ান স্থানীয়রাই। এরপরেই প্রতিকার চেয়ে রায়গঞ্জ থানার দ্বারস্থ হন ওই দম্পতি।

 

এই ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পরেই জেলা শাসকের নির্দেশে ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে পুলিশ। পাশাপাশি জেলা শাসকের নির্দেশ মেনে senior citizen maintenance act’র মধ্য দিয়ে একটি মামলাও রুজু করেন মহকুমা শাসক।

আরও পড়ুনঃ নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ট্রাক জলে

মহকুমাশাসক টি এন শেরপা জানিয়েছেন,সংবাদ মাধ্যম থেকেই এই ঘটনাটি আমরা প্রথম জানতে পারি।এদিন ওই ব্যাপারে শুনানির পরে একটি অর্ন্তবর্তীকালীন নির্দেশ জারি করা হয়েছে। চূড়ান্ত ফয়সালা না হওয়া অবধি।
প্রতিমাসে তাঁদের খরচ চালানোর জন্য ৩০০০ টাকা করে দেবার জন্য ছেলেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে। নির্দেশ মানা না হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মহকুমা শাসক।

 

Exit mobile version