Archiveরায়গঞ্জ

ফেসবুকই পারে এমন মিরাকল ঘটাতে, সাত বছর পর খুশির জোয়ার পরিবারে

NBlive ইসলামপুরঃ ফেসবুক ফিরিয়ে দিল হারিয়ে যাওয়া বাবাকে। সাত সাতটি বছর পর বাড়ির কর্তাকে ফিরে পেয়ে খুশি আর উচ্ছ্বাসে ভাসছে গোটা পরিবার। সাত বছর আগের কথা। শিলিগুড়ি ঘুরতে এসেছিলেন নেপালের বাসিন্দা পঞ্চাশোর্ধ তেজপ্রতাপ তামাং।

তারপর থেকেই নিরুদ্দেশ হয়ে যান তিনি। সিকিমে থাকেন তেজপ্রতাপের ছেলে মুরমু। তন্নতন্ন করে খুঁজেও বাবার কোনও হদিশ পাননি তিনি। নেপাল ও শিলিগুড়ি থানায় পৃথকভাবে নিখোঁজের ডায়েরি করেন তিনি। কিন্তু পুলিশও খুঁজে এনে দিতে পারেনি তাঁর বাবাকে।

শেষমেশ ফিরে পাওয়ার আশা একরকম ছেড়েই দিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু হঠাৎ ঘটে গেল সেই মির‍্যাকল। দিন কয়েক আগে বন্ধুর ফেসবুক পেজে একটা ছবি দেখে চমকে ওঠেন মুরমু। জন্মদাতাকে চিনতে অসুবিধে হয়নি ছেলের।


ছবিতে দেখা যায়, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানার রামগঞ্জ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিশ্রামাগারে কিছু মানুষ তার বাবাকে খাবারদাবার দিয়ে শুশ্রূষা করছেন। মুরমু জানতে পারেন, রামগঞ্জ ইয়ং ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্যরাই বাবা তেজপ্রতাপের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। সেই ছবিই পশ্চিমবাংলা থেকে সিকিম হয়ে দেশ-বিদেশেও নানা জনের হাতে শেয়ার হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই মুরমু তামাং নিজেই ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রামগঞ্জ ইয়ং ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্যদের সঙ্গে। সিকিম থেকে রওনা হয়ে অবশেষে বুধবার এসে পৌঁছান ইসলামপুরের রামগঞ্জ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিশ্রামাগারে।

সাত বছর পর বাবাকে চোখের সামনে দেখে যেন সাত রাজার ধন খুঁজে পেলেন মুরমু। বাঁধ ভাঙা আবেগে তখন দুজনেরই চোখের কোণে জল।
মুরমু বলেন, “আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব এই ফেসবুক আর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে। আজ এদের জন্যই বাবাকে ফিরে পেলাম।”
পিতাপুত্রের মিলনদৃশ্য দেখে খুশী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরাও।

Related News

Back to top button