ফিলাটেলি পোস্টাল স্ট্যাম্প সংগ্রহ ও গবেষণা প্রতিযোগীতায় বড়সড় সাফল্য পেল রায়গঞ্জের পড়ুয়ারা

NBlive রায়গঞ্জঃ ডাক বিভাগের ফিলাটেলি প্রকল্পের উন্নতিকরণের চেষ্টায় দীনদয়াল স্পর্শ যোজনার পোস্টাল স্ট্যাম্প সংগ্রহ ও গবেষণা প্রতিযোগিতায় বড়সড় সাফল্য লাভ করল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ। প্রতিযোগীতায় রাজ্যের মধ্যে সফল ৪০ জন পড়ুয়ার মধ্যে ২৪জন পড়ুয়াই উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের বাসিন্দা। মঙ্গলবার কলকাতার যোগাযোগ ভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সফল ৪০ জন প্রতিযোগীকে শুভেচ্ছা বার্তা জানান বিভাগীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোজ সিনহা। পাশাপাশি সফল প্রতিযোগীদের হাতে স্কলারশিপ সহ শংসাপত্রও তুলে দেওয়া হয়।

মূলত ষষ্ট শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে আয়োজিত এই প্রতিযোগীতায় রাজ্য থেকে মোট ৮৩ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিল। তারমধ্যে সফলতা লাভ করেছে ৪০ জন প্রতিযোগী। যারমধ্যে ২৪জনই রায়গঞ্জের বিভিন্ন স্কুলে পাঠরত। এছাড়াও বালুরঘাট ও জলপাইগুড়ি জেলা থেকেও সফলতা লাভ করেছে কয়েকজন প্রতিযোগী। পড়ুয়াদের এমন সাফল্যে আনন্দিত অভিভাবক ও শিক্ষকরা।

জানা গেছে, ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে প্রথমে ফিলাটেলি সদস্যপদ দেওয়া হয় প্রতিযোগীদের। এরপর বিভিন্ন রকমের পোস্টাল স্ট্যাম্প পাঠানো হয় তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রকমের তথ্য সংগ্রহ করার পর ডাক বিভাগের দ্বারা আয়োজিত একটি পরীক্ষায় সফলতা লাভ করে ছাত্ররা। এরপর ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে দেওয়া রামায়ন,মহাভারত, যোগা, পাখি সহ ১২টি বিষয় থেকে প্রকাশ পাওয়া স্ট্যাম্প গুলি মধ্যে নিজেদের পছন্দ মতন বিষয়ের উপর পোস্টাল স্ট্যাম্প নিয়ে একটি গবেষণার প্রযেক্ট জমা দেন তাঁরা। প্রতিযোগিতায় সফলতা লাভ করার পর মঙ্গলবার কলকাতায় একটি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সফল ছাত্রদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়।

সফল মোট ৪০ জন ছাত্রের মধ্যে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ১১জন প্রতিযোগী। রায়গঞ্জ ও বালুরঘাট থেকে উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের ছাত্র বিশ্বরূপ রায়চৌধুরী,রাজদ্বীপ মুখার্জি ও শীর্ষ দাস। সারদা বিদ্যামন্দির ও বালুরঘাটের ললিত মোহন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ময়ুখ মিত্র, সায়র নাগ, ও সত্যমদীপ সরকার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ির এক সফল প্রতিযোগীও।

এদিকে ছেলের এই সাফল্যে খুশি বিশ্বরূপ রায়চৌধুরীর বাবা নিমাই রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, বিশ্বরূপের দাদা স্ট্যাম্প সংগ্রহ করার বিষয়ে আগ্রহী ছিল। সেখান থেকেই বিশ্বরূপের আগ্রহ জন্মায়। এরপর ডাক বিভাগের একটি অঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে ফিলাটেলির সম্পর্কে জানতে পারে সে। এরপরেই সদস্যপদ গ্রহণ করে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।  আজ সফলতা লাভ করার খবর পেয়ে খুশি বলে জানিয়েছেন নিমাই বাবু। এদিকে সফল প্রতিযোগীদের মধ্যে অন্যতম সায়র নাগ মা শুভশ্রী রায় বলেন, আমি নিজেও একজন পোস্টাল কর্মী। ফিলাটেলি পোস্টাল স্ট্যাম্প সংগ্রহ আমি নিজেও করে থাকি। আজ ছেলের এমন সাফল্য আনন্দিত।

Exit mobile version