দেশের ১৪ তম রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, এক নজরে দেখে তাঁর কৃতিত্বের তালিকা
Nblive ওয়েব ডেস্কঃ দীর্ঘ জল্পনার অবসান। দেশের ১৪ তম রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন রামনাথ কোবিন্দ। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রকাশিত ভোটের ফলাফলের বিচারে ৬৬% ভোটে পেয়ে জয়ী হয়েছেন এনডিএ প্রার্থী কোবিন্দ। আগামী ২৪ জুলাই প্রণব মুখার্জীর দায়িত্ব শেষ। এরপর দিন দেশের ১৪ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। তার সাথেই স্পর্শ করবেন উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রথম রাইসিনা হিলে যাওয়ার গৌরব।
আসুন দেখে নেই কে এই রামনাথ কোবিন্দঃ
৭১ বর্ষীয় এই কোবিন্দের জন্ম উত্তরপ্রদেশ জেলার কানপুরের দেরাপুর গ্রামে। কৃষক পরিবারের এই ছেলে কোবিন্দ DAV কলেজ থেকে বানিজ্যে স্নাতক। তারপর চলে আসা দিল্লিতে। দিল্লি হাইকোর্টে এডভোকেট হিসেবে দুবছর কাজ করার পর সুপ্রীম কোর্টে থিতু হন ১৯৯৩ পর্যন্ত। দিল্লিতে থাকাকালীন বিভিন্ন নীচু জাতির মানুষ, দরিদ্র পরিবার ও মেয়েদের বিনা পারিশ্রমিকে তিনি আইনি পরামর্শ ও সাহায্য করতেন।
১৯৯১ তে তিনি বিজেপি তে যোগদান করেন। একদা মোরারজী দেশাইয়ের আপ্ত সহায়ক ১৯৯৮-২০০২ পর্যন্ত বিজেপির দলিত মোর্চার সভাপতি ছিলেন। মাঝে কিছুবছর বিজেপির মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।
এরপর ১৯৯৪ সালে তিনি উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার সদস্য হন। দুই পর্ব মিলিয়ে তিনি ১৬ বছর রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। সাংসদ হিসেবে তিনি তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের উন্নতির জন্য কমিটি, গৃহমন্ত্রক, পেট্রোলিয়াম-ন্যাচারাল গ্যাস, সামাজিক ন্যায়-ক্ষমতায়ন প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ক কমিটিতে দক্ষতার সাথে সামলেছিলেন।
এছাড়াও তিনি লক্ষ্ণৌতে বি আর আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের সদস্য, IIM কলকাতার গভর্নিং বডিরও সদস্য। পাশাপাশি দেশের হয়ে তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জ সহ বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
২০১৫ তে আগষ্টে রাষ্ট্রপতি তাঁকে বিহারের রাজ্যপাল রুপে নিয়োগ করেন। রাজ্যপাল রুপে তাঁর অন্যতম কাজ হল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে অধ্যাপকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়ম, আর্থিক অনুদানের অপব্যবহার, ও অযোগ্য প্রার্থীদের নিযুক্তকরণ — এই সবের বিরুদ্ধে তিনি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করেন