Archiveবেঙ্গল লাইভ Special

কুয়াশায় ঢাকা বোবা আলো আর দার্জিলিং: দ্বিতীয় কিস্তি

Nblive বিশেষ প্রতিবেদনঃ বাঙালি ভ্রমণযাপনের একটি জরুরি উচ্চারণ হল “দীপুদা”। অর্থাৎ, দীঘা পুরী দার্জিলিং।

দার্জিলিং বাঙালির প্রিয় হলিডে ডেস্টিনেশন… আবহমান। দার্জিলিং ও তার অপরূপ সৌন্দর্য পিছুটান দেয় বাঙালিকে। আর তাই গরমে হাঁসফাঁস কিংবা শীতের তুষারপাত বাঙালিকে ডেকে নেয় পাহাড়ের কোল।

কিন্তু বাঙালি কি খোঁজ রাখে দার্জিলিং-এর ইতিহাস?

দার্জিলিংয়ের ইতিহাস আসলে কথা বলে দার্জিলিং শহরের ও তার পাশাপাশি সিকিম লাগোয়া সংলগ্ন পাহাড়িয়া অঞ্চলের, যা অবশেষে ব্রিটিশ ভারতের অংশ হয় ও বর্তমানে পশ্চিমবাংলার। দার্জিলিংয়ের ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে সিকিমের ইতিহাস… আছে নেপাল, ভুটান, বাংলা, ব্রিটেন ও সর্বোপরি ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ইতিহাস। একসময় যা ছিল সিকিমের একটা অংশবিশেষ, পরবর্তীকালে তাই হয়ে উঠল নেপাল ও ভুটানের মধ্যবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য (Buffer State)। এরপরে ব্রিটিশদের “সুনজর” পড়ল দার্জিলিংয়ের ওপর। তারা দার্জিলিংকে স্বাস্থ্যনিবাস রূপে গড়ে তুলতে চেয়েছিল (পরবর্তীতে হয়েওছিল)। ইংরেজরা এখানকার আবহাওয়াতে মুগ্ধ হয়ে পড়ে এবং চা উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয়। শীঘ্রই তা বাস্তবায়িত হয় এবং অচিরেই “দার্জিলিং চা” তার স্বাদে, গন্ধে বিশ্বের মন জয় করে নেয়।

দর্জে লিং থেকে ‘দার্জিলিং’

দার্জিলিং বলে আমরা যে নামটা জানি তা এসেছে ‘দর্জে লিং’ নামক একটি মনেস্ট্রি থেকে। ডেনজোংপা নামক স্থানীয় এক ব্যক্তি সিকিমের ধর্মরাজার পক্ষ থেকে ১৭৬৫ সালে এই মনেস্ট্রি নির্মাণ করেন। বলা হয়ে থাকে এই স্থানটিতে নাকি একসময় রঙ দেবতার পূজো করা হত এবং এই বিশ্বাসে এই স্থানে ৩ টি পাথর এখনো খাড়া করে রাখা আছে। যদিও খুবই দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এই মনেস্ট্রিটি গোর্খা আর্মির লোকেরা ১৮১৫ তে হানা দিয়ে সম্পূর্ণরুপে ধ্বংস করে দেয় (এখন যেমন আইসিস জঙ্গিরা মধ্যপ্রাচ্যের বহু ইতিহাস ধ্বংসে মত্ত, ঠিক তেমনটাই)

চলবে…

Related News

Back to top button