Nblive অপরাজিতা জোয়ারদারঃ হাইড্রোলিক্স, অক্সিলারি পাওয়ার ইউনিট – এমন অনেক পেশাদারি শব্দ অ্যাডম মহম্মদ আমিরের মুখ থেকে এত সাবলীল ভাবে বেরিয়ে এল যেন বহুবার বিমান উড়াবার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। একবার হলেও আমাদের সকলকেই ভাবতে বাধ্য করেছে অ্যাডম…
সত্যিই ওর বয়স মাত্র ৬! পেশায় পাইলট নন এমন খুব কম মানুষই প্লেন ওড়ার জটিল পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু সপ্তাহ আগে ছড়িয়ে পড়ে মরক্কো অরিজিন এই ছয় বছরের ইজিপ্সিয়ান ছেলে অ্যাডমের অ্যাভিয়েশন সম্পর্কে তুখড় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার কথা। যা অবাক করিয়েছে সকলকে।
মরক্কো থেকে আবুধাবি যেতে সে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং এর জটিল পদ্ধতি অনায়াসে বলে তাক লাগিয়ে দেয় প্লেনের পাইলট স্যমের ইয়াক্লিফকেও। পরিবারের সম্মতিতে অ্যাডমের ভিডিও রেকর্ড করে স্যমের। ভিডিওতে অ্যাডম বলেছিলো,বড় হয়ে পাইলট হতে চায় সে। সম্প্রতি তার আরেকটি ভিডিও আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুললো।
এবারে এটিহাদ এয়ারওয়েজ অ্যাডমের ক্যাপ্টেন হওয়ার স্বপ্নকে একদিনের জন্য সত্যি করলো। অ্যাডম তাঁর স্বপ্নের এয়ারবাস এ.থ্রি.এইট.জিরো চালালো ট্রেনি পাইলটের পোষাক পড়েই। যা তাঁর জন্যই এটিহাদ এয়ারওয়েজের পক্ষে বানানো হয়েছিল।
ট্রেনিং অ্যাকাডেমীতে পেশাদার পাইলটের মতই চার ঘন্টা ককপিট সামলেছে অ্যাডম। ছোটো বেলা থেকেই প্লেনের প্রতি আগ্রহ অ্যাডমের। খেলতে খেলতে কাগজ বা টিস্যু পেপার সবকিছুকেই প্লেন বানাতো অ্যাডম। শুধু তাই নয়, খেলনার দোকানেও তাকে প্লেনই বেশি আকর্ষিত করতো বলে জানিয়েছেন অ্যাডমের বাবা মহম্মদ আমির। তবে শুধু খেলা নয়, নিয়মিত অ্যাভিয়েশন সম্পর্কে বই পড়া আর ইউটিউবে অ্যাভিয়েশনের ভিডিও দেখে অ্যাডম আরও বেশি অ্যাভিয়েশন নিয়ে জ্ঞানার্জন করেছে বলে জানা গেছে তাঁর পরিবারসুত্রে। সোশ্যাল মিডিয়ার সেন্সেশন ছোট্ট অ্যাডম খুব শীঘ্রই দক্ষ পাইলট হয়ে উঠুক এই আশায় বুক বাঁধছেন তার অগণিত ফ্যানরা।