NBlive রায়গঞ্জঃ দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বহিষ্কার করা হলো উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মানস ঘোষকে। অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই নেতাকে বহিষ্কার করার কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অমল আচার্য। তিনি বলেন, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ করে দলের সাথে কোনও রকম আলোচনা না করেই দলকে বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁর স্ত্রীকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছেন মানস ঘোষ। পাশাপাশি দলীয় সিম্বল না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে পঞ্চায়েত সমিতিতে লড়াই করছেন তিনি। দলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেই জেলা কমিটির তরফে মানস ঘোষকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অমলবাবু।
উল্লেখ্য, রায়গঞ্জ পুরসভার ভোটের আগে ২০ মার্চ ২০১৭ তারিখে কংগ্রেস ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা যুব কংগ্রেস সভাপতি মানস ঘোষ। যোগদান মঞ্চ থেকেই মানস বাবুকে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর বছর খানেক তৃণমূলে সংসার করেই বহিষ্কৃত হতে হলো এই নেতাকে।
সূত্রের খবর, রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির ৩০ নম্বর আসনে মানস বাবুর স্ত্রী প্রীতিকণা ঘোষকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। এবং ২৮ নম্বর আসনে মানস ঘোষ নিজেকে দাবীদার মনে করলেও বিশ্বজিত ঘোষকে দলীয় সিম্বল দেয় তৃণমূল। এরপরেই তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন মানস বাবু। দলের তরফ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার কথা একাধিকবার বলা হলেও তিনি তা করেননি বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে। পাশাপাশি শেষ মুহূর্তে ৩০ নম্বর আসনের প্রার্থী মানস বাবুর স্ত্রীকে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করিয়ে দেন তিনি বলে তৃণমূলের অভিযোগ। এরপরেও জেলা কমিটির বৈঠকে মানস ঘোষকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়। যে সিদ্ধান্তকে ইতিমধ্যেই অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য। সিদ্ধান্ত খুব শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা সভাপতি অমল আচার্য।
এদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে মানস বাবু বলেন, যা করেছেন দলের ভালোর জন্যই করেছেন। তাঁর দাবী, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সকল জয়ী সদস্যদের মধ্যে তিনি সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছিলেন। ওই এলাকার মানুষদের দাবীকে মর্যাদা না দিয়ে দল ওই আসনে অন্য একজনকে প্রার্থী করেছে। এলাকার মানুষের দাবীকে মর্যাদা দিতেই তিনি নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন বলে জানান মানস বাবু। তিনি আরও বলেন, তাঁকে প্রার্থী না করার কারণেই তাঁর স্ত্রী ক্ষোভে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। তিনি বলেন, আমি এখনও তৃণমূলেই আছি। দলের ভালোর জন্যই করেছি। এতে শৃঙ্খলাভঙ্গ হয়নি।