রাজ্য

শীঘ্রই জনসাধারণের জন্য খুলতে চলেছে শিকারপুর চা বাগানের দেবী চৌধুরাণীর মন্দির

জোরকদমে চলছে পুড়ে যাওয়া মন্দির ও মূর্তি পুনর্নির্মাণের কাজ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে অতি শীঘ্রই জনসাধারণের জন্য খুলতে চলেছে শিকারপুর চা বাগানের দেবী চৌধুরাণীর মন্দির।

Bengal Live  জলপাইগুড়িঃ খুব শীঘ্রই ফের জনসাধারণের জন্য খুলতে চলেছে জলপাইগুড়ির শিকারপুর চা বাগানের দেবী চৌধুরাণী মন্দির। করোনা পরিস্থিতির  মধ্যেই জোরকদমে চলছে পুড়ে যাওয়া মন্দিরের কাঠের মূর্তি তৈরীর কাজ। দেবী চৌধুরানী, ভবানীপাঠক, সিংহ, দুজন ব্রিটিশ পুলিশ প্রহরী সহ সব মিলিয়ে মোট ১০টি মূর্তি তৈরী করছেন শিল্পীরা।

প্রায় আড়াইশো বছরের ইতিহাসের সাক্ষী জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের শিকারপুর চা বাগানে অবস্থিত ঐতিহাসিক দেবী চৌধুরাণী ও ভবানী পাঠকের মন্দির। কথিত আছে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের রসদ সংগ্রহের জন্য দেবী চৌধুরাণী ও ভবানী পাঠক ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে শিকারপুর চা বাগানে এক মন্দিরে পুজো দিতেন। তাঁদের মৃত্যুর পর রাজা দর্পদেব রায়কত এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। রহস্যজনক ভাবে ২০১৮ সালে বিধ্বংসী আগুনে তা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন লাগার কারণ খুঁজতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল ফরেন্সিক দল।

কনস্টেবল কোচিং সেন্টার শুরু উত্তর দিনাজপুরে, মাদ্রাসায় শূন্যপদে নিয়োগ দ্রুত – গোলাম রব্বানী

তারপরই রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে পুড়ে যাওয়া মন্দিরটির পুনর্নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই পুরনো মন্দিরের আদলে মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। তবে মূর্তি তৈরীর কাজ এখনও চলছে। মূর্তিগুলি তৈরী হচ্ছে মেহগনি গাছের গুঁড়ি দিয়ে।

মূর্তি শিল্পী বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, মূর্তি তৈরী করা সময় স্বাপেক্ষ কাজ। তার উপর করোনা পরিস্থিতির মধ্যে তাদের কাজ করতে হচ্ছে। ফলে তা আরও বিলম্বিত হচ্ছে। মূর্তি তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় কাঠ আনা হয়েছে মধ্যপ্রদেশ থেকে। এরপর প্রথমে মাটি দিয়ে প্রতিটি মূর্তির অবয়ব তৈরী করে সঠিকভাবে তার মাপজোক নিয়ে নিখুঁতভাবে কাঠ খোদাই করে মূর্তিগুলি তৈরী করা হচ্ছে। তবে আশা করা যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে আগামী দুর্গাপূজার মধ্যেই হাতে তৈরী এই নব নির্মিত মূর্তিগুলি মন্দিরে স্থাপিত হবে ।

একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির দাবিতে জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ অবরোধ পড়ুয়াদের

স্থানীয় বিধায়ক শ্রী খগেশ্বর রায় জানিয়েছেন, ঐতিহ্যবাহী দেবী চৌধুরাণী মন্দির ২০১৮ সালে পুড়ে যাওয়ার পর দ্রুত তা পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত মন্দিরের কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে মন্দিরের কাজ। এখন মূর্তি তৈরীর সামান্য কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তা শেষ হলেই মন্দিরে স্থাপন করা হবে মূর্তিগুলি। এবং এরপরই পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দপ্তর এবং বন দপ্তরের সাথে কথা বলে মন্দিরটি জন সাধারণের উদ্দেশ্যে খুলে দেওয়া হবে।

Related News

Back to top button