দীর্ঘদিন বন্ধ পঠনপাঠন , স্কুল বাড়ি ঢেকেছে ঝোপ জঙ্গলে
স্কুল বাড়ি ঢেকেছে ঝোপ জঙ্গলে। সংসার পেতেছে বিষাক্ত পোকামাকড় আর রাত বাড়লেই বসছে মদের আসর। যথেষ্ট আতঙ্কিত অভিভাবকদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও ।
Bengal Live বালুরঘাটঃ কিছুদিন আগেও যে স্কুল বাড়ি মুখরিত হয়ে থাকতো কচি কাঁচাদের হট্টগোলে, এখন তাকে দূর থেকে দেখলে মনে হয় পরিত্যক্ত কোনও ভবন। করোনার কারণে প্রায় দুই বছর যাবত সেখানে মিড-ডে-মিলের সামগ্রী বিলিবণ্টনের দিন ছাড়া পা পড়ে না কারো। ফলে স্কুল বাড়ি ঢেকেছে ঝোপ জঙ্গলে। সংসার পেতেছে বিষাক্ত পোকামাকড়। শুধু স্কুলভবন নয় স্কুলের সামনে থাকা শিশুদের খেলার সামগ্রীগুলিও ঢেকে রয়েছে লতাপাতায়। আর সেখানে রাত বাড়লেই বসছে মদের আসর। কার্যত প্রাণ হাতে নিয়েই ঝোপজঙ্গলে ঢেকে থাকা স্কুল থেকেই মিডডে-মিলের সামগ্রী আনতে যেতে হয় অভিভাবকদের। স্বভাবতই শিক্ষকদের এমন উদাসীনতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকেরা।
বালুরঘাট শহরের চকভৃগু এলাকার নদীপার এনসি হাই স্কুল ক্যাম্পাস এর মধ্যেই রয়েছে দুই -দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়।পাশাপশি অবস্থান করছে চকভৃগু ১নং জি এস এফ পি ও চকভৃগু ২নং জিএসএফপি বিদ্যালয় দুটি। করোনা আবহে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ রয়েছে। কিন্তু হাই স্কুল ভবন চত্বরে কোন আবর্জনা বা জঙ্গল চোখে পড়ে না। অথচ ক্যাম্পাসের পশ্চিম প্রান্তে থাকা প্রাথমিক স্কুলগুলি ঝোপ জঙ্গলে ঢেকে গিয়েছে।
তবে চকভৃগু ১ নম্বর জিএসএফপি বিদ্যালয়টিতে অল্প পরিমাণ ঝোপঝাড় দেখা গেলেও পাশের দুই নম্বর স্কুলটি একেবারে জঙ্গলে ঢেকে গিয়েছে। এমনকি স্কুলের একাংশে তৈরি হয়েছে কচুবন আর ওই কচুবনের মধ্যেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে মদের বোতল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে তিনজন শিক্ষিকা এবং একজন শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৫৮। করোনার জেরে পঠন পাঠন ও ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াত বন্ধ থাকলেও নির্দিষ্ট দিন অন্তর মিডডে মিল সংক্রান্ত কাজে শিক্ষক শিক্ষিকাদের যেতে হয় স্কুলে। অভিভাবকদেরও স্কুলে গিয়েই মিডডে মিলের সামগ্রী সংগ্রহ করতে হয়। স্কুলটি ঝোপঝাড় ও বিষাক্ত লতাপাতায় ঢেকে থাকায় অভিভাবকদের পাশাপাশি আশপাশের বাসিন্দারাও যথেষ্ট আতঙ্কিত।
এই বিদ্যালয়ের এক অভিভাবিকা বুরন সরকার জানিয়েছেন, বিদ্যালয়টি ঝোপ -জঙ্গলে ঢেকে বিদ্যালয়টির অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমরা মিড-ডে-মিল নিতে গিয়ে রীতীমতো আতঙ্কে থাকি। শিক্ষকদের উচিত দ্রুত এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ নেওয়া ।
স্কুলের সহ শিক্ষক তরুণ রায় চৌধুরী বলেন, আমরা স্কুলের পরিষ্কার পরিছন্নতা বজায় রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু বর্ষার জল পেয়ে সম্প্রতি ঝোপ-জঙ্গলগুলি বেড়ে উঠেছে। আমরা এই মাসের মিড-ডে-মিল দেবার আগে অবশ্যই সেগুলি পরিষ্কার করব।