পোর্টজিন

“সিঁদুরই কি প্রেমের মাপকাঠি” লিখেছেন শুভ্রা ভট্টাচার্য

Bengal Live পোর্টজিনঃ পোর্টজিন কি? পোর্টজিন একটি অনলাইন ম্যাগাজিন। প্রতি সপ্তাহের রবিবার এটি বেঙ্গল লাইভের (bengallive.in) এর পোর্টজিন বিভাগ থেকে প্রকাশিত হয়।

bengal live portzine subhra bhattacherjee

 

 

হিন্দু নারীর জীবনে সিঁদুর দান
বিবাহের এক অমূল্য মহান রীতি,
সিঁদুরেই স্বামীর ভালোবাসা কল্যাণ
লুক্কায়িত আবেগ লজ্জা প্রেম প্রীতি!
নারী পুরুষের অটুট প্রেমবন্ধনে
সিঁদুর নাকি একমাত্র অমোঘ শক্তি!
সমাজ বলে “সিঁদুরবিহীন বধূর
সম্পর্কের বাঁধন হতে চিরমুক্তি!”
কিন্তু সিঁদুর দিয়েই স্বামীর মঙ্গল
এমন ভাবধারায় চলবে শুধুই নারী!
স্ত্রীর সুস্থ সবল জীবন কামনায়
পুরুষের তো নাই প্রতীক ম্যান্ডেটরি!
বলতে পারো সিঁদুরই যদি হতো
একমাত্র সুদৃঢ় ভালবাসার চাবি!
তবে সতী সাদ্ধী স্ত্রীর রোদনে
উঠতো কি খোরপোষের দাবী?
যুগ হতে যুগে থাকতো কেন সতীন
ওগো সোহাগী সিঁদুর পরা নারী!
একমুখী ঘরের প্রেম দুপায়ে দলে
বহুগামিতায় পুরুষের বাইজি বাড়ি!
অন্য ধর্মে দেশ বিদেশের বিবাহে
নেই তো সংস্কার সিঁদুরের বাহাদুরি!
তবুও সে সব বৈবাহিক সম্পর্কে
প্রেম ভালবাসার আকাল নাহি পড়ি!
এ সিঁদুর প্রথার উৎপত্তি কোথা
আজ জানাটা ভীষণ দরকারী,
আদিকালে গোষ্ঠী জীবনে পুরুষ
বর্শার ফলায় করত শিকার নারী,
যার মাথা সবার আগে রক্তাক্ত
শোনিত ধারায় হতো স্নাত আহত,
সেই নারী পুরুষের ভোগ্যা হয়ে
সারাজীবন থাকত তার অধীনত।
এমন নিঠুর নৃশংস প্রথা-চলমানতায়
নববিবর্তনে আজ লাল রঙা সিঁদুর,
এরপরও কল্যানময়ী নারী ভাববে না
সিঁদুরদানের ঘটনা কত বেদনা বিদুর!
শুধু নারীর জন্যই কেনো তৈরী
শাঁখা পলা সিঁদুরে ঘেরা শৃঙ্খল!
আবৈভব বইতে হবে দেখনদারি
আষ্ঠেপৃষ্ঠে বাঁধনে গড়া সিম্বল!
হোক না সিঁদুর রূপ সৌন্দর্যের অঙ্গ
নারী ইচ্ছে মতো পরে কিংবা ছাড়ে,
সনাতন ধর্মের গোঁড়ামি ভয় দেখিয়ে
সমাজ কেন নিয়মেই বাঁধে তারে?
ঘরে বাহিরে সমপারদর্শী নারীর পরে
আজও কেন চাপিয়ে দেওয়ার নীতি!
সিঁদুর না পরেও তো অনেক সম্পর্ক
আমৃত্যু অটুট বন্ধনে রয় যথারীতি।
প্রেম ভালবাসা মঙ্গল কল্যাণ
হৃদয় গহীনে মননের অনুভব,
সিঁদুর নামক সিম্বলের বাইরেও
স্বর্গীয় প্রেমানুভুতিতে গৌরব।।

 

কীভাবে লেখা পাঠাবেন?
নীচে উল্লিখিত হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার কিংবা ইমেল আইডিতে লেখা পাঠাতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার~ 9635459953
ইমেল আইডি~ bengalliveportzine@gmail.com
লেখার সঙ্গে নিজের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর এবং একটি ছবি পাঠানো আবশ্যক।
ভ্রমণ কাহিনীর সঙ্গে নিজের তোলা দুটো ছবি পাঠাতে হবে।

Related News

Back to top button