রায়গঞ্জ

রায়গঞ্জে কুলিকের বাঁধ ভেঙে বিপাকে কয়েক হাজার চাষি, সারাইয়ের দাবিতে আন্দোলন

গত বন্যায় ভেসে গিয়েছে কুলিক নদীর বাঁধের একাংশ। এখনও মেরামতির কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন তাঁরা।

 

Bengal Live রায়গঞ্জঃ প্রায় একবছর আগে বন্যায় ভেঙে গিয়েছে কুলিক নদীর বাঁধ। আমন ধানের চাষ করতে পারেননি রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েক হাজার চাষি। একাধিকবার প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হলেও কেউ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। প্রতিবাদে সোমবার ভাঙা বাঁধের উপরেই জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। আগামী সোমবার বিন্দোল গ্রামপঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। কুলিক নদীবাঁধের উপর গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ আন্দোলনে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল এলাকায়৷

২০২০ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের বন্যায় ভেঙে গিয়েছিল রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলিক নদীর উপর ঝাড়মুনি বাঁধের একাধিক অংশ। এলাকার কৃষিজমি বন্যার জলে ভেসে যাওয়ায় গত বছর আমন ধানের চাষ করতে পারেননি কয়েক হাজার কৃষক। নদীবাঁধ সংস্কারের জন্য রায়গঞ্জ ব্লক প্রশাসন, জেলা সেচ দপ্তরের কাছে বহুবার আবেদন করেছেন তাঁরা। তবে জেলা সেচ দপ্তর থেকে একবার শুধু পরিস্থিতি দেখে যাওয়া ছাড়া প্রশাসন আর কিছুই করেনি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।

স্থানীয় কৃষক মহম্মদ পসির অভিযোগ করে বলেন, না গ্রামপঞ্চায়েত, না রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি, না জেলা সেচ দপ্তর, কেউই কুলিক নদীর উপর ঝাড়মুনি বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। ফলে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে বিন্দোল গ্রামপঞ্চায়েতের বালিয়া, বড়বার, অন্তরা, রতনপুর সহ বহু গ্রামের কৃষক পরিবার। গত বছর আমরা আমন ধান চাষ করতে পারিনি। তাই বাধ্য হয়ে সোমবার কুলিক নদীর ঝাড়মুনি বাঁধের উপরেই গ্রামের বাসিন্দারা জমায়েত করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলাম।

আন্দোলনকারীদের দাবি অবিলম্বে প্রশাসন ও সেচ দপ্তর ভাঙা বাঁধ সংস্কার করে নতুন করে এলাকায় কংক্রিটের বাঁধ নির্মান করুক। তাঁদের দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

Related News

Back to top button