সৌমিত্র স্মৃতিচারণে অশোক ভট্টাচার্য
সব চেষ্টা ব্যর্থ করে পরলোক গমন কিংবদন্তির।চিকিৎসকদের একটি দল আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন। তবু কালের নিয়মেই চলে গেলেন কালজয়ী অভিনেতা, বাঙালির শেষ আইকন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
অশোক ভট্টাচার্যঃ কী লিখবো?প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা? না, চলে গেলেন বাংলা শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি জগতের এক আইকন?
।এই মুহূর্তে যাকে শ্রেষ্ঠ বাঙালি বলা যায় । শেষ কথা হয়েছিল আমার যখন করোনা হয়েছিল । দ্রুত সুস্থ হওয়ার কামনা করেছিলেন । উনি যখন আক্রান্ত হয়েছিলেন একই রোগে আমি তাঁকে ফাইট সৌমিত্র দা ফাইট লিখেছিলাম । আসলে তাঁর কাছ থেকেই ফাইট কথাটি শেখা, তার কোনি ছবি থেকে । যখন তাঁর নাটক দেখি আর গর্ব বোধ করি ।
হেরে গেলেন ক্ষিদ্দা, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন বাঙালির শেষ আইকন
তাঁর কিং লিযার যখন দেখেছিলাম, ভাবতেই পারিনি এই বয়সে মঞ্চ জুড়ে কী ভাবে তিনি ছোটাছুটি করতে পারেন । চলচ্চিত্রেও তাই । একদম শেষের দিকের ছবি বেলা শেষে । হাঁ করে তাঁর কথা গুলি এখনো শুনি । তাঁর আবৃত্তি? মৃত্যু আয় তিন পাত্তি খেলি । যেন এসব কথা তাঁর মুখেই মানায় । মৃত্যকে যিনি পরোয়া করতেন না ।বছর দুই আগে আমার বই তিন প্রজন্মের নগরায়ন তিঁনিই প্রকাশ করেছিলেন । একবিংশ শতাব্দীতে নগরায়ন এর অমানবিক চরিত্র সম্পর্কে কী সুন্দর ভাবে কয়েকটি কথা বলে ছিলেন।
আমার সাথে সম্পর্ক ছিলো খুব আন্তরিক । উনি বলতেন, আপনি শিলিগুড়ির মেয়র থেকে বাম্পন্থাকে ধরে রেখেছেন, অন্যেরা পারছেন না কেন?শিলিগুড়িতে এলে অনেক বার আমাদের বাড়িতে এসেছেন । দেখা হলেই বাড়ীর কুশল সংবাদ নিতেন । একজন সত্যিকারের বামপন্থী মানুষ চলে গেলেন । তাঁর সম্ভবত গণশক্তি পুজো সংখ্যার লেখা টাই শেষ লেখা । যেখানে তিনি লিখছিলেন বামপন্থার কোনো বিকল্প নেই । আমার শ্রদ্ধা জানাই তাঁর প্রতি ।
https://www.facebook.com/ashok.bhattacharya.77964/posts/186372933061097
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার বিশেষ শ্রদ্ধার সম্পর্ক ছিল, বললেন মুখ্যমন্ত্রী