মেলেনি সরকারি সাহায্য, আদিবাসী বৃদ্ধার পেট চলছে শামুক বিক্রি করে
সংসার চালান শামুক বিক্রি করে। ভোটার কার্ড, আধার কার্ড থাকার পরেও অসহায় বৃদ্ধা পাননি কোনও সরকারি সাহায্য।
Bengal Live আলিপুরদুয়ারঃ বৃদ্ধা মা’কে বৃদ্ধাশ্রমে রাখেননি বটে, তবে ছেলে ভিন্ন হওয়ার পর থেকে কোনও খোঁজখবরও রাখেন না। ফলে অসহায় অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বৃদ্ধা চম্পা মাঝি। আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের দেওগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ দেওগাঁও ১৩/৭১ পার্টের সত্তরূর্ধ এক বৃদ্ধা চম্পা মাঝি। জানা গেছে, প্রায় ১০-১২ বছর আগেই তার স্বামী শাওনা মাঝি মারা যান। বিধবা ওই মহিলার দুই ছেলে মাতিয়াজ মাঝি ও কৃষ্ণা মাঝি দুজনে বিয়ে করে আলাদা সংসার পেতেছেন। মায়ের কোনো রকম খোঁজ রাখেন না ছেলেরা। চম্পা দেবীর একমাত্র সহায় বলতে তাঁর মেয়ের ঘরের ১৩ বছরের সন্তান অর্থাৎ তার নাতি।
সংসার খরচ চালান নদীর শামুক বিক্রি করে। অনেক সময় মানুষের বাড়িতে কাজ করে পেট চালাতে হয় বলে জানান তিনি। চম্পা দেবীর অভিযোগ, এমন অবস্থায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ কেউ কোনো সহযোগিতা করে না। রেশন কার্ড, আধার কার্ড থাকলেও পায়নি সরকারি ঘর। ভাঙ্গা জরাজীর্ণ ঘরে থেকেই দিন যাপন করছেন। বর্ষা কালে জল পড়ে তাই প্লাস্টিক দিয়ে কোনো রকমে দিন কাটান তিনি। বহুবার স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি বলে জানান তিনি। এই বিষয়ে স্থানীয় সিপিআইএম পঞ্চায়েত সদস্য ভদ্র সাঁওতাল বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ‘বিপিএল কার্ড থাকা সত্বেও দীর্ঘদিন ধরে নাম না আসায় পুনরায় নাম পাঠানো হয়েছে। নাম এলে তাঁকে ঘর দেওয়া হবে।’